‘ডুব’ আটকে দিল শাওন, মুক্তি চান তিশা

মেধাবী নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর মুক্তি প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘ডুব’। হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী ও অভিনেত্রী শাওনের একটি চিঠিতে সদ্য আটকে গেল ছবির মুক্তি। ইতিমধ্যে ছবিটি যাতে প্রদর্শনীতে কোনো বাধা তৈরি না করা হয় তাতে বেধে ওঠছে ছোটখাটো আন্দোলন। ‘ডুব’ মুক্তির পক্ষের এই আন্দোলনে এবার নাম লেখালেন অভিনেত্রী তিশা।

‘ডুব’ ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন দেশের ছোট পর্দার তুমুল জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা। সম্প্রতি তার অভিনীত ছবিটি সেন্সর বোর্ডে জমা দেয়া হয়। প্রত্যাশা ছিল শিগগির সেন্সরের ছাড়পত্র পেয়ে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির জন্য প্রস্তুতি নিবে। কিন্তু বাধ সাধলেন মেহের আফরোজ শাওন!

ছবিটি নির্মাণের পর থেকেই পশ্চিম বাংলার একটি সংবাদের ভিত্তিতে ‘ডুব’কে হুমায়ূন আহমেদের ব্যক্তিগত জীবনের গল্পের চিত্রায়ন বলে আসছেন শাওন। অনুমতি না নিয়ে সিনেমা বানানোর জন্য সেসময় তিনি নির্মাতা ফারুকীর বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়ারও কথা বলেন। অন্যদিকে এই ছবিকে হুমায়ূনের জীবনী নির্ভর সিনেমা বলতে নারাজ ফারুকী। বরং শাওনের প্রতি উল্টো প্রশ্ন করে ফারুকী বলেন, সিনেমা না দেখে একটি খবরের ভিত্তিতে কোনোভাবেই ছবির বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অভিযোগ আনতে পারেন না শাওন।

তবে শেষ পর্যন্ত শাওনের অভিযোগের ভিত্তিতেই তথ্য মন্ত্রণালয়ের আদিষ্ট হয়ে সেন্সর বোর্ডে যাওয়ার আগেই প্রিভিউ কমেটি আটকে দিল ফারুকীর ‘ডুব’। যদিও প্রথমে অনাপত্তিপত্র দিয়েছিল তারা। কিন্তু শাওনের চিঠির কারণে ছবিটির উপর নিষেদাজ্ঞা জারি করতে বাধ্য হয় তারা।

‘ডুব’ নিষিদ্ধ করায় অনলাইনে ফুঁসে ওঠছে ফারুকীর ভক্ত অনুরাগীরা। শুধু তাই না, এমন অযৌক্তিক কারণে সিনেমাটি মুক্তিতে বাধা তৈরি করায় মুখ খুলছেন দেশের নবীন-প্রবীন নির্মাতা থেকে শুরু করে অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও। আর ছবিটির মুক্তিতে বাধা সৃষ্টি করায় তীব্র নিন্দা জানালেন অভিনেত্রী তিশা।

জাজ মাল্টিমিডিয়া, কলকাতার এসকে মুভিজ ও তারকা অভিনেতা ইরফান খান প্রযোজিত ‘ডুব’ ছবির উপর নিষেদাজ্ঞার কথা শুনে সবার মতোই কিছুটা ক্ষুব্ধ অভিনেত্রী তিশা। তারউপর এই ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রেও অভিনয় করেছেন তিনি। তাই অন্যসবার চেয়ে একটু বেশীই যেনো সিরিয়াস তিশা। তাইতো তিনি জোরকণ্ঠে বলেন, ‘ডুব’ চলচ্চিত্রের অনাপত্তিপত্র স্থগিতের তীব্র নিন্দা জানাই। এই সাসপেনশন অবিলম্বে প্রত্যাহার করে ছবিটি মুক্তির জোর দাবী জানাই।



মন্তব্য চালু নেই