ডুবেছে দেশের সবচে বড় পাইকারি বাজার

ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর প্রভাবে বেড়ে গেছে সমুদ্রের পানির উচ্চতা। অস্বাভাবিক এ জলোচ্ছ্বাসে তলিয়ে গেছে চট্টগ্রামের ভোগ্যপণ্যের বড় বাজার চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ। দোকানপাট, মিল-কারখানা ও গুদাম ঘর পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে কোটি টাকার মালামাল। এর ফলে আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে মজুদ পণ্য ভিজে নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। আর এমনটা হলে এর প্রভাব পড়তে পারে সারাদেশে।

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে অনেক ব্যবসায়ীই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন জানিয়ে সাবেক কাউন্সিলর খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ জামাল হোসেন বলেন, ‘দেশের সবচেয়ে বড় এই পাইকারি বাজারটি প্রায় ৭-৮ বছর ধরে বৃষ্টি আর জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যায়। অর্থনৈতিক ক্ষতির সাথে লড়াই করে কোনো মতো টিকে আছেন চাকতাই খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা। এরই মধ্যে বাজারের মজুদকৃত কোটি কোটি টাকার মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

তিনি আরো জানান, আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ও জুইদন্ডি গ্রাম এবং বাঁশখালী উপজেলার বনিকগ্রাম পানিতে ডুবে গেছে। এখান থেকে মালামাল সারাদেশে সরবরাহ করা হতো। এখন সেসব যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে সারাদেশে রমজানের বিশেষ পণ্য যেমন, ছোলা, ডাল, খেজুর এসবের সঙ্কট দেখা দিতে পারে।

গ্রামগুলো প্লাবিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামও।

ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের সর্ববৃহৎ এই পাইকারি বাজার কোথাও হাঁটু, কোথাও কোমর সমান পানিতে তলিয়ে যায়। কয়েক হাজার দোকান ও গুদামে পানি ঢুকে কোটি টাকার মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে। ছোট-বড় সাত হাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রায় শতকোটি টাকার মালামাল পানিতে ডুবে নষ্ট হয়েছে। যা অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে কিছু সংরক্ষণ আবার কিছু ফেলে দেয়া হচ্ছে।

এছাড়াও সরকারি বন্ধের দিন থাকায় বেশকিছু দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, মিল, গুদাম বন্ধ ছিল। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও বেড়ে যায়। আজ শনিবার সকালে ব্যবসায়ীরা ছুটে এসে দোকানের ক্ষতিগ্রস্ত মালামাল সরিয়ে নিতে শুরু করেন।



মন্তব্য চালু নেই