ডিসেম্বরেই আ.লীগের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল

আগামী ডিসেম্বরেই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলের নির্দেশ দিয়েছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শুক্রবার রাতে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সাংগঠনিক বিষয়ে আলোচনার সময় সভাপতি শেখ হাসিনা দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতাদের এমন নির্দেশ দেন বলে বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা নিশ্চিত করেছেন।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, আগামী ডিসেম্বরেই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠানের নির্দেশ দিয়েছেন দলটির সভাপতি। একই সঙ্গে দ্রুত মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা-মহানগর কমিটির সম্মেলন অনুষ্ঠান এবং সম্মেলন হওয়া জেলা-মহানগর কমিটির পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা আগামী এক মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার নির্দেশও দেন তিনি।

সূত্র জানায়, আগামী ডিসেম্বরেই দলের কেন্দ্রীয় ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের ব্যাপারে দৃঢ় অবস্থান নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, কোন রাজনৈতিক দলই গণতান্ত্রিক নিয়মে নির্ধারিত সময়ে কেন্দ্রীয় কাউন্সিল করে, আগামীতেও করবে। তিনি দ্রুত মেয়াদোত্তীর্ণ তৃণমূলের সব কমিটির সম্মেলন শেষ করার নির্দেশ দিয়ে বলেন, জেলা কমিটিসহ তৃণমূলের যেসব কমিটির সম্মেলন ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে তাদের আগামী এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা দিতে হবে।

জানা গেছে, বৈঠকে সম্মেলন সম্পন্ন হওয়া শাখাগুলোকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার প্রস্তাব করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আর দেরি করা যাবে না, আগামী এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে কেন্দ্রীয় দপ্তরে জমা দিতে হবে। তবে কমিটি গঠনের আগে সংশ্লিষ্ট এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে নিতে হবে। এ সময় তিনি গোলাপগঞ্জ, কিশোরগঞ্জসহ যেসব জেলায় দীর্ঘদিন ধরে সম্মেলন হয় না সেখানে দ্রুত সম্মেলন করার তাগিদ দেন।

বৈঠক সূত্র জানায়, বৈঠকে দুজন কেন্দ্রীয় নেতা সম্প্রতি ১৪ দলের শরিক একটি দলের বিরুদ্ধে কিছু নেতার বক্তব্য এবং পাল্টা বক্তব্যকে কেন্দ্র করে উদ্ভুত পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যাদের নিয়ে সরকার গঠন করেছি তাদের সম্পর্কে কোন কথা না বলাই ভালো। এর বেশি কোন কথা বলেননি তিনি।

আসন্ন সারাদেশে পৌর ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন প্রসঙ্গ উত্থাপিত হলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন থেকেই এ ব্যাপারে প্রস্তুতি নিতে হবে। এখন থেকে যেভাবে প্রতিটি পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদে দলের পক্ষ থেকে একক প্রার্থী নিশ্চিত করা যায় সেভাবে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাজ করতে হবে। প্রয়োজন হলে প্রতিটি এলাকার সংসদ সদস্য ও জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে একক প্রার্থী নিশ্চিত করতে হবে।

এছাড়াও মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের অযাচিত নানা বক্তব্য সম্পর্কে একজন কেন্দ্রীয় নেতা ক্ষোভ জানালেও এ ব্যাপারে কোনই মন্তব্য করেননি প্রধানমন্ত্রী।

বৈঠকে কুমিল্লা উত্তর ও দক্ষিণ এবং মহানগরে দলের সাংগঠনিক কমিটি নিয়ে বিদ্যমান সমস্যার বিষয়েও আলোচনা হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী সবার সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের নেতৃত্বে ৪ সদস্যদের একটি কমিটি গঠন করে দেন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, কার্যনির্বাহী সদস্য আবদুর রহমান, র আ ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী।



মন্তব্য চালু নেই