ডিসিদের তথ্য সংগ্রহ করবেন আট কর্মকর্তা

জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) কাজের মূল্যায়নের বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন (এসিআর) বস্তুনিষ্ঠভাবে অনুস্বাক্ষর ও প্রতিস্বাক্ষরের জন্য মূল্যায়ন ছকে আরো কয়েকটি নির্ণায়ক যোগ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ডিসিদের পাঠানো প্রতিবেদনের যথার্থতা ও গভীরতা নিরূপণ, জনকল্যাণমুখী বিশেষ উদ্যোগ পর্যালোচনা, গণমাধ্যম থেকে পাওয়া প্রতিবেদনসহ চারটি নির্ণায়ক।

জেলা প্রশাসকদের কর্মতৎপরতা মূল্যায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতার জন্য ওই চার নির্ণায়কের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আট কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, উদ্ভাবনী ও প্রশংসনীয় যেকোনো কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট ডিসির এসিআরে নম্বর যোগ হবে। আর এটি ওই কর্মকর্তার জন্য প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে পদায়নসহ নানাভাবে পুরস্কৃত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করবে।

বার্ষিক অনুবেদন ছকে যোগ হওয়া নতুন চারটি নির্ণায়ক ও আট কর্মকর্তার নামসংবলিত অফিস আদেশ সম্প্রতি সব বিভাগীয় কমিশনারের কাছে পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

মাঠপর্যায়ে সরকারের সামগ্রিক প্রতিনিধিদের (ডিসি) কাজের গুরুত্বের কথা তুলে ধরে অফিস আদেশে বলা হয়, সরকারি কর্মকর্তাদের বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদনের (এসিআর) মূল্যায়ন ছকে যেসব নির্ণায়ক নির্ধারণ করা হয়েছে, কাজের বহুমাত্রিকতার কারণে সেগুলো জেলা প্রশাসকের সার্বিক কর্মতৎপরতা মূল্যায়নের জন্য যথেষ্ট নয়। এসিআর ফরমে অন্তর্ভুক্ত নির্ণায়কগুলো ছাড়া আরও কিছু বিষয়ের ভিত্তিতে জেলা প্রশাসকদের কাজের মুল্যায়ন করা হলে বস্তুনিষ্ঠভাবে তাদের এসিআর অনুস্বাক্ষর ও প্রতিস্বাক্ষর করা সম্ভব হবে।

জেলা প্রশাসকদের সামগ্রিক কর্মতৎপরতা ‍মূল্যায়নের জন্য বার্ষিক গোপনীয় অনুবেদন ছকে অতিরিক্ত হিসেবে যেসব নির্ণায়কের কথা বলা হয়েছে, সেগুলো হলো:

১. সংশ্লিষ্ট অধিশাখা/শাখা দৈনন্দিন কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের পাঠানো প্রতিবেদন ও চিঠির বস্তুনিষ্ঠতা, গভীরতা, যথাথর্তা নিরূপণ; ২. জনকল্যাণমুখী, বিশেষ উদোগ, নতুন উদ্ভাবনসংক্রান্ত বিষয় পর্যালোচনা; ৩. বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় বা অন্য কোনো মাধ্যম থেকে পাওয়া রিপোর্ট/প্রতিবেদন এবং ৪. অন্য কোনো বিভাগ সংশ্লিষ্ট তথ্য পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছে তা পাঠানো।

এগুলো ছাড়াও মাঠপ্রশাসনে কর্তব্যরত বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডার কর্মকর্তাদের যথাসময়ে নিজ দপ্তরে উপস্থিতির বিষয়টিও মনিটর করবেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওই আট কর্মকর্তা।

তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের জেলা প্রশাসকদের তথ্য সংগ্রহ ও কর্মকর্তাদের উপস্থিতি মনিটরিং করবেন যুগ্ম সচিব (জেলা ম্যাজিস্ট্রেসি শাখা) ড. শাহিদা আকতার; চট্টগ্রাম বিভাগে উপসচিব (মাঠ প্রশাসন সংযোগ অধিশাখা) মঈনউল ইসলাম; রাজশাহী বিভাগে যুগ্ম সচিব (জেলা ও মাঠ প্রশাসন অধিশাখা) সাইদুর রহমান; রংপুর বিভাগে উপসচিব (মাঠ প্রশাসন সংস্থাপন অধিশাখা) হাবিবুর রহমান; খুলনা বিভাগে উপসচিব (জেলা ম্যাজিস্ট্রেসি পরিবীক্ষণ অধিশাখা) ছাইফুল ইসলাম; সিলেট বিভাগে উপসচিব (মাঠ প্রশাসন শৃঙ্খলা অধিশাখা) মো. শাফায়াত মাহবুব চৌধুরী; বরিশাল বিভাগে সিনিয়র সহকারী সচিব (মাঠ প্রশাসন সমন্বয় শাখা) ড. ফারুক আহম্মদ এবং ময়মসিংহ বিভাগের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন সিনিয়র সহকারী সচিব (জেলা ম্যাজিস্ট্রেসি নীতি শাখা) মাহফুজা বেগম।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (জেলা ও মাঠ প্রশাসন) মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী ঢাকাটাইমসকে বলেন, ডিসিরা সারা দেশে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিনিধিত্ব করেন। তারা অনেক ধরনের কাজ করে থাকেন। এসব কাজের জন্য তিনি স্থানীয়ভাবে প্রশংসনীয় হলেও তা এসিআরে যুক্ত হয় না। এখন থেকে মানবিক ও জনকল্যাণমুখী কাজের জন্য তাদের এসিআরে নম্বর যোগ হবে।” পদায়ন ও পদোন্নতির ক্ষেত্রে এ বিষয়গুলোও বিবেচনায় নেয়া হবে বলে জানান অতিরিক্ত সচিব।



মন্তব্য চালু নেই