ডিমলায় মহান বিজয় দিবেস বিভিন্ন সংগঠনের শ্রদ্ধাঞ্জলী

হামিদা আক্তার, নিজস্ব প্রতিবেদক : জাতীর শ্রেষ্ট সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্বরণে ও মহান জাতীয় বিজয় দিবসে বিভিন্ন সংগঠনের শ্রদ্ধাঞ্জলী ও পুষ্পমাল্য অর্পনের মধ্যে দিয়ে দিসবটি শুরু করা হয়েছে। সারা দেশের কর্মসূচী অনুযায়ী নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা প্রশাসন যথাযথ মর্যাদায় দিবসটি পালন করে।

১৬ই ডিসেম্বর “মহান বিজয় দিবস” উপলক্ষে ডিমলা উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, ডিমলা ইউনিয়ন পরিষদ, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ,কৃষকলী ও শ্রমীক লীগ, বিরোধীদল জাতীয় পার্টি ও তার অঙ্গ সংগঠন সমূহ, জাতীয়তা বাদী দল বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠন সমূহ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহ,উপজেলা মুত্তিযোদ্ধা সংসদ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড, সেচ্ছাসেবি সংগঠন সমূহ , ফায়ার সার্ভিস (সিভিল ডিফেন্স), আনসার ভিডিপি, উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ, গিণতন্ত্রী পার্টি সিপিবি, জাতীয় সমাজ তান্ত্রিক দল জাসদ, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ ও ডিমলা উপজেলা রিপোর্টার্স ইউনিটি প্রমূখ সংগঠনগুলি দিবসটির প্রথম প্রহরে ও দিবসটিতে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলী জ্ঞাপনে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন। দিবসটির প্রথম প্রহরে স্মৃতি অম্লানে রাত ১২:০১ মিনিটে ৩১ বার তোপধ্বনীর মধ্যে দিয়ে দিসবটির সূচনা করা হয়। এর পরেই পুষ্পঅর্ঘ্য অর্পন, সূর্য্য উদয়ের সাথে সাথেই স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং উপজেলার সংগঠনগুলিতেও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল থেকে উপজেলা সদরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা স্ব-স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিজয়ের ব্যানার নিয়ে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করে।

র‌্যালী শেষে উপজেলা পরিষদ মাঠে প্যারেড স্কোয়ার্ডে সকলে সমবেত হয় কুচ-কাওযাচ অনুষ্টানে অংশগ্রহনের জন্য। সু-সজ্জিত প্যারেড পরিদর্শন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আফতাব উদ্দিন সরকার। এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্তকর্তা মোঃ রেজাউল করিম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ তবিবুল ইসলাম, ডিমলা থানা অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন। উপস্থিত প্যারেড সদস্যদের পরিচয় পর্ব শেষে পরিবেশিত হয় মনোমুগ্ধকর ডিসপ্লে। সবশেষে উপস্থিত সকলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় ক্রীড়া অনুষ্ঠান। প্রায় ২৫টি ইভেন্টে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদেরকে পুরুস্কৃত করা হয়। দিন শেষে দিবসটিতে আলোচনা সভা, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান এবং সবশেষে দেশ ও জাতির কল্যাণে মন্দির,মসজিদে ও গীর্জায় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।

সভায় প্রধান অতিথি সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আফতাব উদ্দিন সরকার বলেন, ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আজকের এই বিজয়। অনেক ত্যাগ ও ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনমিয়ে এমনকি কঠোর সংগ্রাম ও প্রাণপন যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে আমরা এ স্বাধীনতা অর্জন করেছি। কিন্তু স্বাধীনতার আজ ৪৫ বছর পরেও দেশের অভ্যান্তরে ঘাপটে মেরে থাকা পাক-হানাদারদের দোসর ও গুপ্তচররা আজো এদেশে ষড়যন্ত্রের জ্বাল বুনে চলেছে। এ জন্য আমাদের সকলকে ঔক্যবদ্ধ থেকে তা প্রতিহত করতে হবে। জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন আমরা কখনই নষ্ট হতে দিবো না। সুতরাং আসুন, সকলে কাঁধে কাঁধ মিলে একটি সুখী-সমৃদ্ধশালী,ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত জাতি গঠনে কাজ করি। সর্বোপরি সোনার বাংলা গড়ে তুলি।



মন্তব্য চালু নেই