ডিমলায় পুত্রবঁধুর বাপের বাড়ীর লোকজনের আঘাতে গরুতর আহত শ্বশুর হাসপাতালে

হামিদা আক্তার বারী, ডিমলা করেসপন্ডেট, নীলফামারী : নীলফামারীর ডিমলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শ্বশুর শাশুড়ীকে পিটিয়ে আহত করে পুত্রবঁধু বাড়ীতে থাকা প্রায় ৮০ হাজার টাকা মূল্যের ৩টি গর” নিয়ে গেল বাপের বাড়ী। এ ঘটনায় শশুড় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।

জনা যায়, উপজেলার গয়াবাড়ী ইউনিয়নের পশ্চিম খড়িবাড়ী গ্রামের আবুল হোসেনের পুত্র রফিকুল ইসলাম ১০ বছর পূর্বে পারিবারিক ভাবে একই গ্রামের আব্দুর গফুরের কন্যা কোহিনুর আক্তারকে বিয়ে করেন। বিয়ের এ দীর্ঘ সময়ে তাদের সংসার জুড়ে ২ টি সন্তানের আগমণ ঘটে। সংসার জীবন তাদের ভালোই চলছিল। কোহিনুরের স্বামী জীবিকার তাগিদে দীর্ঘদিন ধরে সিলেটে রয়েছে।

ঘটনার সূত্র ধরে জানা যায়, গত ২৪ জুলাই কোহিনুরের সংসারে থাকা একটি সন্তান পানিতে ভিজতে থাকলে শিশুটি অসুস্থ্য হবে ভেবে শশুড় আবুল হোসেন পুত্রবঁধু কোহিনুর আক্তারকে একটু শাসন করায় পুত্রবঁধু ক্ষেপে গিয়ে বাপের বাড়ীর লোকজন পেয়ে ছুটে আসে। এ খবরে ঐ পুত্র বঁধুর বাপের বাড়ী থেকে তার খালাত ভাই বিপ¬ব হোসেন (৩৫), মা মরিয়ম বেগম(৫০),বাবা আব্দুর গফুর (৫৫), বানিজ খাঁ (৪০) ও মানিক খাঁ (৪২)সহ আরো অনেকে ঘটনার দিন বিকালে কোহিনুরের শশুড়বাড়ী (আবুল হোসেনের বাড়ীতে) এসে বাড়ীতে থাকা প্রায় ৩০ হাজার টাকা মূল্যের একটি বাচ্চি গর”, প্রায় ৩৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি গাভী ও প্রায় ১৫ হাজার টাকার মূল্যের একটি বাছুর জোড় পূর্বক নিয়ে যেতে থাকে। এ ছাড়াও ৬০ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার ও সোকেসের ড্রয়ারে থাকা প্রায ৭০ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এ সময় আবুল হোসেন এসব গরু নিয়ে যেতে বাঁধা প্রদান করায় উলে¬খিত ব্যক্তিগণ পুত্রবঁধুর শশুড় আবুল হোসেনকে এলোপাতারি মারপিট করে গরুতর আহত করে। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন আহত আবুল হোসেনকে তাদের হাত থেকে উদ্ধার করে ডিমলা হাসপাতালে ভর্তি করে। গরুতর শশুড় আবুল হোসেন বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

এ ঘটনায় পুত্রবঁধুর স্বামী রফিকুল ইসলাম সিলেট থেকে ফিরে এসে স্ত্রী কোহিনুর ও তার শশুড় শাশুড়ীর বিরুদ্ধে ডিমলা থানায় মামলা করে। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। শুরু হয়েছে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এলাকাবাসীর পক্ষে ঘটনার সময় উপস্থিত মোক্তার মাষ্টার, আব্দুর রহিম, লোকমান জানায় পুত্র বধু কোহিনুর ইচ্ছে করেই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাপের বাড়ী থেকে লোকজন এনে তার শশুড়কে মারধর করে কোহিনুরের মা মরিয়ম নিজেই এসব গুরু ছিনতাই করে নিয়ে যাচ্ছিল। আমরা উপস্থিত দর্শকরা ঘটনার সময় মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করার সময় ছিনতাইকারী ঔসব লোকজন ফোনটিও কেড়ে নেয়। পরে স্থানীয় মানুষজনের চাপে ফোনটি দিয়ে তারা পালিয়ে যায়।



মন্তব্য চালু নেই