ডিমলায় নৈশ্য প্রহরীর মৃত দেহ উদ্ধার : রহস্যে ঘেরা এ মৃত্যু

হামিদা আক্তার বারী, ডিমলা (নীলফামারী) সংবাদদাতা : নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার খগাখড়িবাড়ী বহু-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নৈশ্য প্রহরী জিকরুল হক ভূট্টু (৪০) ’র মৃত দেহ উদ্ধার করেছে ডিমলা থানা পুলিশ বলে খবর পাওয়া গেছে। এ মৃত দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে জনেমনে চলছে নানা নানা জল্পনা কল্পনা। রহস্যে’র জাল ছড়িয়ে পড়েছে নৈশ্য প্রহরীর মৃর্ত্যুকে ঘিরে। নৈশ্য প্রহরী মৃত জিকরুল হক বন্ধর খড়িবাড়ী গ্রামের মৃত আঃ মজিদের পুত্র।

জানা যায়, ১ অক্টোবর সকালে উক্ত বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের প্রাচীর সংলগ্ন একটি ছোট্ট পুকুর (পানির গভীরতা মাত্র ৪ ফুট) থেকে ভূট্টুর লাশ উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘ প্রায় ৭ বছর ধরে উক্ত বিদ্যালয়ে নৈশ্য প্রহরী (খন্ডকালীণ) পদে চাকুরী করে আসছিল জিকরুল হক। হঠাৎ করে কিভাবে কি হয়ে গেলো আমরা কিছুই বুঝতে পারছি না। তবে এলাকাবাসীরা ধারনা করছে কোন একটি মহল নিজ স্বার্থ চরিতার্থে এ হত্যা কান্ডটি ঘটিয়েছে। এলাকাবাসী জানিয়েছে লাশ দেখে মনে হয়েছে মৃত দেহের গলায় আঘাত ও ফুলা জগম রয়েছে। এতে অনুমান হয়,শ্বাস রোধ করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে এ মৃর্ত্যুর কারন যেহেতু কেউ জানেন না সেহেতু এ ব্যাপারে কেহই মুখ খুলছে না।

এ ঘটনায় ৫ সন্তানের জনক মৃত জিকরুল হকের কনিষ্ঠ সন্তান সাগর (১২) এ প্রতিবেদককে জানায়, অনেক রাত পর্যন্ত আমার বাবা আমাদের সাথেই ছিলো তখন আমার মাও ঘুমায়নি। কিন্তু ভোরের দিকে আমার বাবাকে দেখতে না পেয়ে আমার মা আমাকে ডেকে বলে তোর বাবাকে খুঁেজ পাওয়া যাচ্ছে না। তাৎক্ষনিক মা আমাকে করিরাজের বাড়ীতে পাঠায় আমার বাবার খোঁজ বের করার জন্য। আমি সেখানেই শুনতে পাই স্কুলের ভিতরে প্রাচীর সংলগ্ন ঐ পুকুরে বাবার লাশ পড়ে আছে। ছোট্ট শিশু সাগর দাবী করে বলে আমার বাবাকে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। মৃত জিকরুল হক স্ত্রী ফেন্সিকে নিয়ে ঐ বিদ্যালয়ের পার্শ্বেই বাড়ী করে বসবাস করলেও প্রতি রাতে স্ত্রী পুত্র নিয়ে বিদ্যালয়ের ২য় তলার সিড়ির নীচে ঘুমিয়ে থাকতো তারা। ঘটনার দিন গভীর রাত পর্যন্ত স্ত্রী সন্তান কে নিয়ে জিকরুল জেগেই ছিলেন।

এদিকে এ ঘটনায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মৃত জিকরুল হকের স্ত্রী ফেন্সি বেগমকে থানায় নিয়ে এসে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। থানা পুলিশের এসআই এবং এ ঘটানার তদন্দকারী অফিসার মোঃ সফিয়ার রহমান জানান, মৃত জিকরুলের স্ত্রী বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দেয়ায় ইউডি মামলা করা হয়েছে। যার নম্বর-১৫/১৬,তাং-০১ক্টোবর/১৬।

এ ব্যাপারে ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। হত্যার কোন আলামত পেলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।



মন্তব্য চালু নেই