ডিমলায় জিয়ারুল হকের মৃর্ত্যুতে রহস্য : হত্যা না আত্মহত্যা

হামিদা আক্তার বারী, ডিমলা (নীলফামারী) সংবাদদাতা : গতকাল বুধবার সন্ধায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার গয়াবাড়ী ইউনিয়নের আব্দুল হকের পুত্র জিয়ারুল ইসলাম (৩২) তুচ্ছ ঘটনার জেড়ে রহস্যজনক ভাবে নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নীলফামারীর এএসপি (সার্কেল) আবু মারুফ হোসেন ও ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিমলা থানা পুলিশের এস আই সাহাবুদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

ঘটনার অনুসন্ধানে ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা য়ায়, গত ০৯ অক্টোবর রোববার বিকালে পার্শ্ববর্তী বাসিন্দ আব্দুর রহিমের ধান ক্ষেতে জিয়ারুল হকের ছাগল ঢুকে পড়ে। এ সময় আব্দুর রহিমের স্ত্রী সাবিহা জিয়ারুল ও তার স্ত্রী শহিদা বেগম (২৮) অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।

এ সময় উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ সৃষ্টি হলে জিয়ারুল হকের স্ত্রী বলে ধান ক্ষেত খাওয়া ছাগলটি আমার না বড় ভাই খলিলুর রহমান খুলিলের। এ ঘটনায় বড় ভাই খলিল আব্দুর রহিমের পক্ষ নিয়ে ছোট ভাই জিয়ারুলের বিপক্ষে গিয়ে বিবাদ সৃষ্টি করে।

উল্লেখ্য, নিহত জিয়ারুল হকেরা চার ভাই, দুই বোন। ভাইদের মধ্যে মোঃ দুলাল (৪৫), আব্দুল জলিল ( ৪০), মোঃ খলিল (৩৫) ও জিয়ারুল হক (৩২)। পরবর্তীতে উক্ত তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র আব্দুল জলিল ও নিহত জিয়ারুল হক এক গ্রুপ অপর দিকে মোঃ খলিল ও আব্দুর রহিম আর এক গ্রুপে বিভক্ত হয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।

এ ঘটনায় জিয়ারুল হকের স্ত্রী শহিদা বেগম আহত হলে তাকে ঘটনার দিন ৯ অক্টোবর ডিমলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় বড় ভাই মোঃ খলিল বেশ কিছু এলাকাবাসীর সামনে বলেন, জিয়ারুল আমার ভাই না। ও বাড়ীতে আসলেই ওকে আমি শেষ করে দিবো। জিয়ারুল ও তার স্ত্রী অনেকের কাছে এ কথা শুনলেও কর্ণপাত না করে ঘটনার দিন অর্থাৎ ১৯ অক্টোবর বুধবার বাদ আছর জিয়ারুল ও তার স্ত্রী শহিদা বেগম বাড়ী যান।

এরপরেই সন্ধায় (গোধুলী লগ্নে) গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলানো অবস্থায় তার নিজ শয়ন ঘরে জিয়ারুলের লাশ পাওয়া যায়। তবে লাশ দেখে এলাকাবাসী জানায় জিয়ারুলে ঘ্ড়াটি একেবারেই রগ ছিরে যাওয়ার মত। েিয দিকেই কাত করা যায় সেদিকে মাথা চলে যাচ্ছিল। জিয়ারুলের এ আকর্শিক মৃর্ত্যুতে এলাকাবাসী হতবম্ব হয়ে পড়েছেন। কিভাবে কি হলো কেহই কিছু বুঝতে পারছে না।

মিডিয়া বা পুলিশের কাছে মুখ খুলতে নারাজ সকলে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ও ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার অনুসন্ধানে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে জিয়ারুল হক ও তার ভাইদের মধ্যে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।

এ ঘটনায়, ঘটনা পরিদর্শন কালে পুলিশের এএসপি সার্কেল আবু মারুফ হোসেন প্রকাশ্যে জনসম্মুখে সাধারণ জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা এখনও কিছু বুঝতে পারছি না। এটা হত্যা না আত্মহত্যা তা বুঝা যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে আমরা কনফিউজ।

মৃত জিয়ারুলের বৃদ্ধ পিতা আব্দুল হক (৭৫) ও মাতা চড়িনা বেগম (৬৫) সঠিক তথ্য দিতে পারেননি। তবে আপনারা যদি মৃর্ত্যুর রহস্যর খবর কেহ কোন ভাবে জানতে পারেন বা বুঝতে পারেন তাহলে সাথে সাথেই আমার মোবাইল ফোনে জানিয়ে দিবেন। এই অনুরোধ করছি। তবে আমাদের তদস্ত অব্যাহত থাকবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন গয়াবাড়ী ইউপি’র চেয়ারম্যান শরীফ ইবনে ফয়নাল মুন, খালিশা চাপানী ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান সামছুল হক হুদা, এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিক বৃন্দ প্রমূখ। এ ঘটনায় ডিমলা থানায় সাধারণ ডায়েরী নম্বর-৮৮৮/১৬ তাং-১৯ অক্টোবর/১৬। পুলিশ জিয়ারুল হকের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছেন বলে ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোয়াজ্জেম হোসেন নিশ্চিত করেছেন।



মন্তব্য চালু নেই