ডামুড্যায় আসাদুজ্জামানকে অফিসার্স ক্লাবের সংবর্ধনা

রাজিব হোসেন রাজন, শরীয়তপুর : যেতে তব নাহি দেব তোমায়, তবু যেতে দিতে হয়, হায় তবু চলে যায়। সোমবার রাতে ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার বিদায় সংবর্ধনা উপজেলা অফির্সাস ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়। ফুলের শুভেচ্ছার মাধ্যমে বিদায়ী অতিথিকে সংবর্ধনা জানান ডামুড্যা উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন মাঝি।

উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, বিদায় সবসময়ই বেদনার। বিদায়কে কখনো আটকানো যায় না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান ডামুড্যাতে যে স্বপ্ন বুনে গেছেন তাতে প্রতিদিনই তিনি এখানকার মানুষের হৃদয়ে বসবাস করবেন। তাই আজকের বিদায়টি কেবলই একটি আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।

ডামুড্যার জনপদের সাধারণ মানুষকে স্বাবলম্বী করতে তার নানা উদ্যোগের প্রশংসা করে তিনি বলেন, সংঘাত নিরসন করে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি যুগযুগ ধরে এ অঞ্চলের মানুষ তাকে স্মরণ করবে।

তিনি সোমবার সাড়ে ৮টার সময় ডামুড্যা অফিসার্স ক্লাবের আয়োজনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আসাদুজ্জামানের বিদায়ী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্মের ইনচার্জ ডা. মু. মুসা খাঁন এর সভাপতিত্বে সদ্য বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামানের দায়িত্ব পালনকালে ইতিবাচক বিভিন্ন দিক তুলে ধরে এতে স্মৃতিচারন ও বক্তব্য রাখেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান উজ্জল সিকদার,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহমান বাবলু সিকদার,কনেশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান বাচ্চু মাদবর, উপজেলা কৃষিসম্প্রসারন কর্মকর্তা মো.আলী রেজা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতা স্বপন মাদবর, প্রাইম ব্যাংক ডামুড্যা শাখার ব্যবস্থাপক মোঃ মিজানুর রহমানসহ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, এ অনান্ত চরাচরে কেউ চিরস্থায়ী নয়। সবাইকে একদিন কর্মক্ষেত্র ছেড়ে চলে যেতে হয়। নতুন কর্মক্ষেত্র ভরে উঠুক সুবাসিত ফুলের সুবাসে। নতুন কর্মক্ষেত্র আলোর আভায় উদ্ভাসিত হোক। সুখের কনাগুলো ভিজে থাক আপনার কর্মক্ষেত্রকে। সফলতার সোনালী সূর্য আপনার জীবনকে করে তুলক রঙিন। রাতের অন্ধাকার কেটে গিয়ে পর্ব আকাশের যেমন দেখা যায় সোনালী ঊষা। তেমনি আপনার ভাগ্যেকাশে উপদিত হোক সাফল্যের শুকতারা।

বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা মোঃআসাদুজ্জামান অনুষ্ঠানে বলেছেন, ডামুড্যার মানুষের প্রতি ভালবাসার কথা তিনি কখনো ভুলবে না। ডামুড্যার রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি-সদ্ভাব ও সহমর্মিতা বিদ্যমান থাকায় এখানে দায়িত্ব পালন আমার জন্য সহজ হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমার কর্মক্ষেত্রে আমার আচারনে কেউ যদি কষ্টোপেয়ে থাকেন সেটা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।যদিও আমি কারও সাথে কোন কারনে রাগ হয়েছি সেটা আমার কাজের স্বার্থে, ব্যক্তিগত কারনে নয়,আপনাদের সাথে আমার কোন ব্যক্তিগত আক্রোস নেই।আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন যেন আমি আমার নতুন কর্মস্থানে সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারি।

সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ওমর ফারুক।



মন্তব্য চালু নেই