ডাকাতি ঠেকাতে সব ব্যাংকে অটো অ্যালার্ম

ডাকাতি ঠেকাতে সব ব্যাংকের প্রতিটি শাখায় স্বয়ংক্রিয় অ্যালার্ম ব্যবস্থা চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের সব ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। কয়েকটি ব্যাংক ইতিমধ্যে এ ব্যবস্থা চালু করেছে।

বুধবার রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশে ব্যাংকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ব্যাংকার্স সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। এতে গভর্নর ড. আতিউর রহমানসহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং বিভিন্ন ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে ব্যাংকার্স সভার আলোচ্য বিষয় সম্পর্কে সাংবাদিকের অবহিত করেন। এসময় অ্যাসোসিয়েশন ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান আলী রেজা ইফতেখার চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

ডেপুটি গভর্নর বলেন, ‘সাভারে কমার্স ব্যাংকের সাম্প্রতিক ঘটনার কারণে এবারের সভায় ব্যাংক শাখার নিরাপত্তা নিয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে, প্রচলিত এবং বিদ্যমান ব্যবস্থার বাইরে কী করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এসময় ব্যাংকারদের পক্ষ থেকে অটো অ্যালার্ম চালুর প্রস্তাব দেয়া হলে তাতে সকলেই সম্মতি জানায়।’ কয়েকটি ব্যাংক ইতোমধ্যেই এ ব্যবস্থা চালু করেছে বলেও জানান তিনি।

এবিবি চেয়ারম্যান আলী রেজা ইফতেখার চৌধুরী জানান, অটো অ্যালার্ম হলো এমন একটি ব্যবস্থা যাতে পুলিশ, র‍্যাব ও ব্যাংকের হেডকোর্য়াটারসহ দশটি গুরুত্বপূর্ণ নম্বরে অটো কল দেয়ার ব্যবস্থা থাকবে। এতে কোনো ব্যাংকে দুর্ঘটনা ঘটলে সুইচ চাপ দিলেই অনবরত কল যেতে থাকবে।

তিনি বলেন, ‘এ ব্যবস্থা গ্রহণ করলে ডাকাতি হয়তো ঠেকানো যাবে না, তবে ক্ষয়ক্ষতি কমানো যাবে।’

এস কে সুর চৌধুরী আরও জানান, এবারের সভায় কমার্স ব্যাংকে ডাকাতির সময় নিহত ব্যক্তি এবং নেপালের ভূমিকম্পে মৃতদের স্মরণে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। একইসাথে নেপালে সাহায্য পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

এছাড়া ব্যাংক ঋণের সুদ হ্রাসকরণ, ডেবিট কার্ডের সার্ভিস চার্জ নির্ধারণ, সঙ্কটাপন্ন আবাসন খাতকে রক্ষায় এ খাতে ঋণ প্রবাহ বৃদ্ধি, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের চাকরি প্রবেশের সময়সীমা মেনে চলা, ব্যাংকগুলোতে উচ্চ পদে অধিক সংখ্যক নারী নিয়োগ, বিদ্যমান নিয়ম অনুসারে ঋণ পুনঃতফসিলীকরণ এবং ব্যাংক কর্মকর্তাদের চাকরি থেকে বিনা কারণে অপসারণ ও ইস্তফা পরবর্তী সময়ে আর্থিক সুবিধা নিশ্চিতকরণ নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।



মন্তব্য চালু নেই