ডব্লিউটিও নীতিমালা অনুযায়ী ট্রানজিট ফি : অর্থমন্ত্রী

বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) নীতিমালা অনুযায়ী ট্রানজিট ফি নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

সচিবালয়ে রবিবার ‘বাংলাদেশ টায়ার টিউব ম্যানুফেকচারার এ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশন’ (বিটিটিএমইএ) এর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে ঢাকায় ফ্রান্সের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত সোফি অবার্ট (Sophie Aubert) মন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

ভারতকে ট্রানজিট প্রদানের ক্ষেত্রে ফি নির্ধারণ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী ঢাকা সফরকালে এটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এখন দুই পক্ষ বসে এটা চূড়ান্ত করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ডব্লিউটিও’র নীতিমালা অনুযায়ী অবকাঠামো ব্যয়ের সঙ্গে একটা ফি যোগ করে ট্রানজিট ফি নির্ধারণ করা হবে। যেমন ধরা যাক- বাংলাদেশ থেকে ভুটানে যাওয়ার রাস্তাটা ঠিক করতে হবে, সেখানে বিদ্যুতের ট্রান্সমিশন লাইন বসাতে হবে। এর তো একটা ব্যয় আছে। এর সঙ্গে একটা ফি যোগ করা হবে। তবে একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দেশের অবকাঠামোও উন্নত করতে হবে।’

এর আগে ২০১০ সালে ট্রানজিট সংক্রান্ত ট্যারিফ কমিশনের প্রতিবেদন সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘নীতিগতভাবে এটা ঠিক আছে, কিন্তু তারা যে ক্যালকুলেশন করেছে সেটা এ্যাবসার্ড।’

‘বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার জন্য প্রস্তুত কিনা’ এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর তো ব্যবহার হচ্ছেই। আর মংলা বন্দর উন্নয়ন করা হচ্ছে। মূলত কয়লা আমদানির জন্যই এটা করা হচ্ছে। তবে এটা দৃশ্যমান হতে আরও এক বছর সময় লাগবে।’

টায়ার আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক বহাল

‘বাংলাদেশ টায়ার টিউব ম্যানুফেকচারার এ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এ্যাসোসিয়েশন’ (বিটিটিএমইএ) এর সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী জানান, বর্তমানে টায়ার উৎপাদনের প্রধান কাঁচামাল প্রাকৃতিক রাবার আমদানিতে ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক এবং হালকা যানবাহনে ব্যবহৃত ১৬ ইঞ্চি রিম সাইজের টায়ার আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক ও ৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বিদ্যমান রয়েছে। প্রস্তাবিত বাজেটে প্রাকৃতিক রাবার আমদানিতে শুল্কহার বাড়িয়ে ১০ শতাংশ এবং ১৬ ইঞ্চি রিম সাইজের টায়ার আমদানিতে বিদ্যমান সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। দেশীয় শিল্পের স্বার্থে বাজেট পাসের সময় সম্পূরক শুল্কটা আবার আরোপ করা হবে।

ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক

ঢাকায় ফ্রান্সের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত সোফি অবার্টের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ফ্রান্স বাংলাদেশের একটি ভাল উন্নয়ন অংশীদার। ফ্রান্সের একটি দাতা সংস্থা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ও ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশে অনেক কাজ করছে। সাক্ষাতে ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও বাড়ানোর পাশাপাশি স্যাটেলাইট প্রকল্পে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।’

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘প্রকল্প বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক দরপত্রে চায়না এখন সবচেয়ে বড় প্রতিযোগী। অনেক স্বল্প খরচে তারা প্রকল্প বাস্তবায়নের দরপত্রে অংশগ্রহণ করে থাকে। ফলে তাদের বাদ দেওয়াটা কঠিন। একই সঙ্গে তাদের দরপত্রে অর্থায়নেরও প্রস্তাব থাকে। কাজ পাওয়ার ক্ষেত্রে এটা এক ধরনের অগ্রাধিকার।



মন্তব্য চালু নেই