ট্রেনে ‘সিট’ নিয়ে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষ

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ-ময়মনসিংহ পথে যাতায়াতকারী ‘মহুয়া’ ট্রেনের সিটে বসাকে কেন্দ্র করে মোহনগঞ্জ পৌর এলাকায় দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আজ সোমবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনায় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

পুলিশ শটগানের ৬৫টি রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, সংঘর্ষ ও পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেটে দুই কাউন্সিলরসহ উভয়পক্ষের ২২ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত চারজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এলাকাবাসী ও মোহনগঞ্জ থানা সূত্রে জানা যায়, আজ সকালে মোহনগঞ্জ স্টেশনে মহুয়া ট্রেনের সিটে বসাকে কেন্দ্র করে বিরামপুর গ্রামের পিয়াসের সঙ্গে নওহাল গ্রামের রকি মিয়ার বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরে দুপুরের দিকে বিরামপুর গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে স্টেশন এলাকায় নওহাল গ্রামের হুমায়ূন ও রকির ওপর হামলা চালায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে নওহাল গ্রামের লোকজনও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বিরামপুর গ্রামের লোকজনের ওপর পাল্টা হামলা চালায়। এভাবে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে দেড়-দুই ঘণ্টা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ চলতে থাকে।

সংঘর্ষ থামাতে মোহনগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের নব-নির্বাচিত কাউন্সিলর আব্দুল মজিদ ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর কামরুজ্জামান হীরা এগিয়ে আসেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৬৫টি শটগানের রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২২ জন আহত হয়।

পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেটে কাউন্সিলর আবদুল মজিদ ও কামরুজ্জামান হীরা গুলিবিদ্ধ হন। গুরুতর আহত সাইদুল হক (৩৫), হৃদয় মিয়া (২৩), আব্দুল হান্নান (৫৮) ও হারুন মিয়াকে (৩৮) আশঙ্কাজনক অবস্থায় ময়মসিনংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের মোহনগঞ্জ ও পাশের বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মেজবাহ্ উদ্দিন দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের কথা স্বীকার করে বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

নেত্রকোনার পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী বলেন, কাঁদানে গ্যাসের শেল এবং ৬৫টি রাবার বুলেট ছুড়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
দুই কাউন্সিলরের হাতে গুলি লাগার কথা স্বীকার করে পুলিশ সুপার বলেন, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই