ট্রাম্প থাকলে কী হবে, তা নিয়ে ভীত অভিবাসীরা

যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক শহরের মেয়র বিল ডি ব্লাসিও বলেছেন, শহরের অভিবাসী পরিবারগুলো ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন সময়ে কী হবে, তা নিয়ে ভীত।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি অভিবাসীদের এ ভীতির কথা জানিয়েছেন। খবর বিবিসি, টাইম এবিসির।

নিউইয়র্কের ট্রাম্প টাওয়ারে বৈঠক শেষে নিউইয়র্কের ডেমোক্রেট দলীয় মেয়র বিল ডি ব্লাসিও জানান, নথিভুক্ত নয় এমন অভিবাসীদের দেশ থেকে বের করে দেয়ার হাত থেকে বাঁচানোই তার লক্ষ্য হবে বলে তিনি ট্রাম্পকে সতর্ক করে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, তাদের দু’জনের মধ্যে ‘খোলামেলা’ আলোচনা হয়েছে এবং তিনি ট্রাম্পকে বলেছেন যে, দেশান্তরিত করা হলে অনেক পরিবার বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।

অপরাধের ইতিহাস আছে এমন ৩০ লাখ অভিবাসীকে দেশ থেকে বিতাড়িত করা কিংবা বন্দি করার হুমকি দিয়েছেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ডি ব্লাসিও ছাড়াও ওয়াশিংটন, লস অ্যাঞ্জেলস, সান ফ্রান্সিসকো, শিকাগো, বস্টন, ফিলাডেল ফিয়া এবং ওয়াশিংটন ডিসির মেয়ররাও বলেছেন, তারা তাদের শহরের মানুষকে দেশান্তরিত হবার হাত থেকে রক্ষা করবেন।নিউইয়র্ক শহরের মেয়র বিল ডি ব্লাসিও

এদিকে বিদায়ী ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, জানুয়ারির ২০ তারিখে ডোনাল্ড ট্রাম্প শপথ গ্রহণ করবেন। সে সময় সবকিছু ভালভাবেই চলবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।

ট্রাম্পের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে জো বাইডেন বলেন, নতুন সরকার গঠনের সময়টা কখনই সহজ নয়।

মাইক পেন্সকে যেকোনো সময় সাহায্যের জন্য তিনি প্রস্তুত আছেন বলেও জানান জো বাইডেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন সরকার গঠন নিয়ে বিশৃংখলা তৈরি হয়েছে বলে বারবার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এমনকি কেউ কেউ একে ট্রাম্প টাওয়ারের ‘ছোরা যুদ্ধ’ বলেও বর্ণনা করেছেন।

এদিকে, ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেনে না এক অধিবাসীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নিউইয়র্ক শহরের ট্রাম্পের তিনটি ভবনের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই