ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দিনেও বিক্ষোভ

যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থিতা বাছাইয়ের লড়াইতে এগিয়ে থাকা ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্যালিফোর্নিয়ায় শুক্রবার যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে দ্বিতীয় দিনেও তা অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে। গত মঙ্গলবারের নির্বাচনে পাঁচটি অঙ্গরাজ্যে জয় পাওয়ার পর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার প্রার্থী হওয়াটা এখন প্রায় নিশ্চিত।

বিক্ষোভকারীদের ভয়ে ধনকুবের এই ব্যবসায়ী শুক্রবার তার মোটর শোভাযাত্রায় ছেদ টানতে বাধ্য হন। ক্যালিফোর্নিয়ার রিপাবলিকান করভেনশনে ভাষণ দেযার জন্য তিনি ওইদিন পিছনের দরজা দিয়ে হোটেলে প্রবেশ করেন বলে জানিয়েছে বিবিসি। হোটেলের বাইরে তখন শত শত মানুষ জড়ো হয়ে তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রকাশ করছিল। পরে সান ফ্রান্সিসকোর বার্লিনগেম এলাকায় এক জনসভায় তিনি বলেছেন, ‘সেখানে প্রবেশ করাটা আমার জন্য সহজ ছিল না। হোটেলটিতে প্রবেশ করার সময় তাই আমার মনে হচ্ছিল যেন সীমান্ত পাড়ি দিচ্ছি।’ ওই বিক্ষোভের কারণে নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে তিনি বক্তব্য রাখেন।

শুক্রবার কিছু বিক্ষোভকারীর হাতে শোভা পাচ্ছিল মেক্সিকোর জাতীয় পতাকা। তারা হোটেলের প্রবেশপথ আটকে দাঁড়িয়েছিল। পরে পুলিশ লাঠি পেটা করে তাদেরকে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের কোস্টা মেসা এলাকাতেও ট্রাম্পের সমাবেশের বাইরে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বিক্ষোভকারীরা পুলিশের গাড়ির কাচ ভেড়ে ফেলেছিল। ওই বিক্ষেভের কারণে সড়কে তৈরি হয়েছিল ব্যাপক যানজট। এসময় কমপক্ষে ২০ বিক্ষোভকারীকে আটক করে পুলিশ।

ইদানিং ট্রাম্পের জনসমাবেশকে ঘিরে বিক্ষোভ যেন সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলে ব্যাপকভাবে নিন্দিত হয়েছেন রিপাবলিকান দলের এই নেতা। এছাড়া মেক্সোকোর বিরুদ্ধে মাদক পাচারের অভিযোগ করে সীমান্তে প্রাচীর নির্মানের কথা বলে সে দেশের জনগণের চক্ষুশূল হয়েছেন এই ধনকুবের। যার ফলশ্রুতিতে শুক্রবারের ওই বিক্ষোভ।

তবে এইসব বিক্ষোভ তাকে উদ্বিগ্ন করতে পারেনি বলেই মনে হয়। শুক্রবার এক জনসভায় ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে প্রয়োজনীয় ১২৩৭ প্রতিনিধির সমর্থন লাভের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।



মন্তব্য চালু নেই