টেকনাফ ইউপি নির্বাচনের আজ প্রতিক বরাদ্ধ: কাল হতে শুরু প্রচারনা

ফয়েজুল ইসলাম রানা, টেকনাফ: আগামী ২২শে মার্চ টেকনাফ উপজেলায় ইউপি নিবার্চন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গত ২মার্চ ছিল প্রার্থী প্রত্যাহারের শেষ দিন। আজ প্রতিক বরাদ্ধ। কাল থেকে শুরু হচ্ছে প্রার্থীদের মাঠ কাপানো প্রচারনা। উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশ নিবার্চন কমিশন দেশের অন্যান্য স্থানের মতো প্রথম ধাপের ইউপি নিবার্চনের সাথে টেকনাফ উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের নিবার্চন তফশীল ঘোষনা করে ছিলেন। সে সুবাদে আগ্রহী প্রার্থীগণ নিবার্চনের তফশীল অনুযায়ী নিবার্চনী ফরম, ব্যাংক ড্রাফ, মনোনয়নপত্র জমা ইত্যাদি সমাপ্ত করেছিল। সম্প্রতিক সময়ে হ্নীলার বাসিন্দা ফিরুজ নামক এক ব্যক্তি রোজার ঘোনা সীমানা বিরোধ রয়েছে মর্মে মহামান্য হাই কোট একটি রীট করে।

এ রীটের প্রেক্ষিতে মহামান্য হাই কোট হ্নীলা ও হোয়াইক্যং ইউনিয়নের নিবার্চনে ২মাসের স্থাগিতা আদেশ প্রদান করেন। যার ফলে ২টি ইউনিয়নের নিবার্চনের নিবার্চন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বাকী নিবার্চন যথা সমেয় অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে গত কাল বুধবার ছিল ৪টি ইউনিয়নের প্রার্থী প্রত্যাহারের শেষ দিন।

এই দিনে উপজেলা নিবার্চন অফিস সূত্র অনুযায়ী সদর ইউনিয়নে ৭জন সাধারণ সদস্য পদপ্রার্থী, বাহারছড়া ইউনিয়নে ২জন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও ৩জন সাধারণ সদস্য পদপ্রার্থী, সাবরাং ইউনিয়নে ৮জন সাধারণ সদস্য পদপ্রার্থী ও সেন্টমার্টিন ইউনিয়নে ২জন সাধারণ সদস্য পদপ্রার্থী তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছে। আজ প্রতিক বরাদ্ধ অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৪মার্চ হতে স্ব-স্ব ইউনিয়নের প্রার্থীগণ নিবার্চনী প্রচারনায় মাঠে নেমে পড়বে বলে প্রার্থীরা জানিয়েছেন।

এদিকে অনেক ইউনিয়নে বৃহত্তর দুটো রাজনৈতিক দল, ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ ও বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ছাড়াও অনেক বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করেনি। ফলে নিবার্চনী মাঠে স্ব-স্ব দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিয়ে বড় সমস্যায় রয়েছে প্রতিক প্রাপ্ত প্রার্থী গণ। এদিকে অনেক প্রতিক পাওয়া প্রার্থীগণ জানিয়েছেন সময় আসলে বিদ্রোহী প্রার্থীগণ স্ব-ইচ্ছায় আমাদেরকে সমর্থন জানিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিবেন।

এটাই আমাদের প্রত্যাশা। অপর দিকে অনেক বিদ্রোহী প্রার্থীরা বলেছে, আমরা কারও নির্দেশে ভোটের মাঠ ছেড়ে যাবনা। নির্বাচিত যদি নাও হতে পারি নিবার্চন চালিয়ে যাব। এদিকে দলীয় প্রতিক প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থী মাঠে থাকায় স্ব-স্ব দলের ভোটারগণ পড়েছে বিপাকে।

কেন না ইউপি নিবার্চন হচ্ছে, স্থানীয় নিবার্চন। এখানে রয়েছে আত্মীয়তার বন্ধন। এলাকা ভিত্তিক ও বিভিন্ন বিষয় জড়িত রয়েছে। ফলে আমরা সাধারণ ভোটারগণ দোলা চালে দুলছি। অপেক্ষা করছি কখন প্রতিক প্রাপ্ত প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে সমজোতা হয়। এই প্রত্যাশায় প্রহর গুনছি।



মন্তব্য চালু নেই