চিকিৎসক শামারুখ হত্যা:

টিপু সুলতানের ছেলের জামিন নামঞ্জুর

সাবেক সংসদ সদস্য টিপু সুলতানের ছেলে হুমায়ুন সুলতানের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। হলি ফ্যামিলির চিকিৎসক শামারুখ মেহজাবিন হত্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিলো শামারুখের স্বামী হুমায়ুন সুলতানকে।

মহানগর দায়রা জজের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইমরুল কায়েস সোমবার তার জামিন আবেদন নাকচ করে দেন।

এর আগে ১৬ নভেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আনোয়ার সাদাত তার বিরুদ্ধে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আটক আছেন।

১৩ নভেম্বর রাজধানীর ধানমণ্ডি এলাকার ৬ নম্বর সড়কের শ্বশুরের বাসভবনে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ডা. শামারুখ মেহজাবিনকে উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। ওই রাতেই ডা. শামারুখের বাবা নূরুল ইসলাম ধানমণ্ডি থানায় হত্যা মামলা করেন।

মামলায় আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য (যশোর-৫) টিপু সুলতান, তার স্ত্রী ডা. জেসমিন ও ছেলে হুমায়ুন সুলতান সাদাবকে আসামি করা হয়। সাদাবকে গ্রেফতার দেখিয়ে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। আর টিপু সুলতান ও তার স্ত্রী উচ্চ আদালতে হাজির হয়ে আগাম জামিন নেন।

ডা. মাহজাবিনের লাশের ময়নাতদন্ত হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ২৩ নভেম্বর প্রকাশিত ময়নাতদন্ত রিপোর্টে ডা. মাহজাবিন আত্মহত্যা করেছেন বলে বলা হয়। এর আগে ২০ নভেম্বর প্রেস ক্লাব যশোরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রকৌশলী নূরুল ইসলাম আশঙ্কা করেন, প্রভাবশালী টিপু সুলতান ময়নাতদন্ত রিপোর্ট প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন।

ঢামেকের ময়নাতদন্ত রিপোর্ট চ্যালেঞ্জ করে ২৫ নভেম্বর প্রকৌশলী নূরুল ইসলাম আদালতের শরণাপন্ন হন। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বিকাশ কুমার সাহা ওই দিনই ডা. মাহজাবিনের লাশ উত্তোলন করে আবারও ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন যশোরের সিভিল সার্জনকে।

২৯ নভেম্বর সকালে বাবা নূরুল ইসলাম নিজের ও ছেলে শাহানুর মো. শরীফের জীবনাশঙ্কা ব্যক্ত করে যশোর কোতয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।



মন্তব্য চালু নেই