টিকিটের জন্য রাতভর অপেক্ষা

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে তৃতীয় দিনের মতো চলছে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে আজও কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে লাইনে দাঁড়িয়ে শত শত মানুষ অপেক্ষা করছেন। রাতভর অপেক্ষা করছেন কাঙ্খিত টিকিটটির জন্য।

বৃহস্পতিবার তৃতীয় দিন ২২ সেপ্টেম্বরের অগ্রিম টিকিট দেওয়া হচ্ছে। এভাবে অগ্রিম টিকিট আরো দুইদিন দেওয়া হবে। আগাম এ টিকিট বিক্রি চলবে ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ২৩, ২৪ সেপ্টেম্বরের টিকিট পাওয়া যাবে ক্রমান্বয়ে ১৮, ১৯ সেপ্টেম্বর।

অন্য দুই দিনের মতো আজও লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিটের অপেক্ষায় আছেন শত শত মানুষ। অনেকে গতকাল রাত থেকে দাঁড়িয়েছেন লাইনে। অপেক্ষায় আছেন কখন টিকিট হাতে পাবেন।

শ্যামলী থেকে গতকাল রাতে এসে লাইনে দাঁড়িয়েছেন শোয়েব। তিনি যাবেন রংপুরে। শোয়েব বলেন, অপেক্ষা করছি টিকিটের জন্য, যদি টিকিট পাই তাহলে রাত জেগে যে কষ্ট করেছি তা ভুলে যাবো। কষ্ট আর কষ্ট মনে হবে না।

নারায়ণগঞ্জের আরেকজন যাত্রী জালাল উদ্দীন। তিনি জামালপুরের ইসলামপুর যাবেন। তিনিও রাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। তিনি বলেন, প্রিয়জনের স্বান্নিধ্যের জন্য এই কষ্ট। কষ্ট করে শেষ পর্যন্ত বাড়ি পৌঁছতে পারলেই হয়, আর কিছু চাই না।

এভাবে ট্রেনের অগ্রিম টিকিটের জন্য সারা রাত না ঘুমিয়ে অপেক্ষার পর যারা টিকিট পেয়েছেন, তাদের মুখে ফুটেছে হাসি। তবে অপেক্ষারত শত শত মানুষ শঙ্কায় আছেন টিকিক পাওয়া নিয়ে।

দিনাজপুরের টিকিটের জন্য দিনাজপুরের পার্বতীপুর দ্রুতযান এক্সপ্রেস কাউন্টারের সামনে লাইন দিয়েছেন সুমন। সারা রাত অপেক্ষার পর আজ সকাল ৯ টায় টিকিট দেওয়া শুরু করলে তিনি প্রথম টিকিট পেয়েছেন। টিকিট পাওয়ার পরই আনন্দ প্রকাশ করেন তিনি।

তিনি জানান, আজকে ২২ সেপ্টেম্বরের টিকিট কিনেছি। অনেক কষ্টে টিকিটটি পেয়েছি। টিকিট পাওয়ার পর ভালো লাগছে।

এভাবেই আরো অনেকে সারা রাত না ঘুমিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন, অবশেষে হাতে টিকিট পাওয়ার পর মুখে হাসি দেখা গেছে।

তবে কাউন্টার থেকে টিকিট দিতে দেরি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন অনেকে। লাইনে দাঁড়ানো যাত্রীরা বলেন, টিকিট দেওয়া শুরু করেছে ৯টায়। তাও যেখানে দাঁড়ানো ছিলাম সেখানেই আছি। এ ছাড়া নারী কাউন্টার আছে মাত্র দুটি। এসময় লাইনে দাঁড়ানো নারীরা তাদের জন্য আরো কাউন্টার বাড়ানোর দাবি জানান।

কমলাপুর স্টেশন ম্যানেজার সিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, যাত্রীরা ঠিকমতো লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট নিয়ে যাচ্ছে। দুই দিন ধরে টিকিট দেওয়া হচ্ছে। আজ তৃতীয় দিন। এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি।

নারী কাউন্টার বাড়ানো প্রসঙ্গে সিতাংশু চক্রবর্তী বলেন, এখন নারীদের জন্য দুটি কাউন্টার আছে। এখানে আর কাউন্টার বাড়ানো সম্ভব নয়। যদি কখনো নারীদের জন্য আলাদা জায়গায় করা যায়, তখন কাউন্টার বাড়ানো হবে।



মন্তব্য চালু নেই