টার্গেট জানুয়ারি, ঢাকায় আন্দোলনের ছক

নির্দলীয় সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ডিসেম্বরে সরকারকে চূড়ান্ত সময়সীমা বেধে দিতে যাচ্ছেন। নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে আলোচনায় এ সমস্যার সমাধান না হলে জানুয়ারিতে ঢাকাকেন্দ্রিক আন্দোলনের ছক আঁকছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। খবর ইউএনবির।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দেশব্যাপী চলমান গণসংযোগ শেষে খালেদা আগামী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে ঢাকায় মহাসমাবেশ ডেকে সরকারকে আলোচনার জন্য চূড়ান্ত সময়সীমা বেধে দেবেন। এ মহাসমাবেশে বাধা দিলে সংবাদ সম্মেলন ডেকে সরকারকে আল্টিমেটাম দেয়া হবে।

সরকার সময়সীমা না মানলে বিএনপি চেয়ারপারসন ২০ দলীয় জোটকে সঙ্গে নিয়ে হরতাল, অবরোধ, ঘেরাও, অসহযোগের মতো কর্মসূচি দেবেন বলে জানা গেছে।

আগামী ২৯ নভেম্বর কুমিল্লায় সমাবেশের মাধ্যমে খালেদা তার দেশব্যাপী চলমান গণসংযোগ কর্মসূচি শেষ করবেন। তিনি চট্টগ্রাম বিভাগসহ আরো দুটি সমাবেশে অংশগ্রহণ করতে পারেন বলে নাম না প্রকাশ করার শর্তে তার ঘনিষ্ঠ একজন বিএনপি নেতা জানিয়েছেন।

বিএনপি’র ওই নেতা আরো জানান, এবার তারা দীর্ঘমেয়াদী আন্দোলনের পরিবর্তে ১০ থেকে ১৫ দিনের শক্ত আন্দোলন গড়ে তুলে তাদের পক্ষে ইতিবাচক ফলাফল আনার চেষ্টা করবেন। আর এ আন্দোলটি হবে মূলত ঢাকাকেন্দ্রিক।

দলের সিনিয়র নেতারা জানান, তাদের লক্ষ্য থাকবে সারা দেশ থেকে দলের সক্রিয় কর্মীদের ঢাকায় এনে বলিষ্ঠ আন্দোলন গড়ে তোলা। আর এজন্য আন্দোলনের রূপরেখা ঠিক করতে খালেদা জিয়া মঙ্গলবার দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও যুগ্ম মহাসচিবদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হবেন। একই দিন তিনি দলের স্থায়ী কমিটির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে আন্দোলনের কর্মসূচি চূড়ান্ত করবেন।

এ ব্যাপারে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আন্দোলনের প্রাথমিক পর্যায়ে বর্তমানে তাদের দেশব্যাপী গণসংযোগ চলছে। তিনি বলেন, ‘‘গণসংযোগ শেষে আমরা আমাদের আন্দোলন আরো তীব্র করে তুলবো।’

তিনি জানান, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আগামী ১৩ নভেম্বর এক বৈঠকে আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি ঠিক করবেন।

ডিসেম্বরে ঢাকায় মহাসমাবেশ করে সরকারকে চূড়ান্ত সময়সীমা বেধে দেয়ার কোনো পরিকল্পনা তাদের আছে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, দলের নীতিনির্ধারকরা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল(অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, “জনগণ অধীর আগ্রহে চরম আন্দোলনের জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু আমরা এখনো চাই দাঙ্গা-হাঙ্গামা ও জনগণের দুর্ভোগ এড়িয়ে আলোচনার মাধ্যমে যুক্তিসঙ্গত ও শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যার সমাধান করতে।”

বিএনপির ঢাকা মহানগরী কমিটির সদস্যসচিব হাবিবুন নবী সোহেল জানান, ঢাকা শহরের সাংগঠনিক শক্তি প্রায় পুরোপুরি পুনর্গঠিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, “আমাদের নেত্রী বলেছেন নির্দিষ্ট সময়ে তিনি আন্দোলনের ডাক দেবেন। শিগগির তিনি আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দেবেন।”

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এম শাহজাহান জানান, চলমান গণসংযোগ শেষ হওয়ার পরে আন্দোলন নতুন মাত্রা পাবে। সূত্র: ইউএনবি



মন্তব্য চালু নেই