টানা হরতাল-অবরোধে বেসামাল রাজধানীর সবজি-মাংসের বাজার

টানা ৩৯ দিনের অবরোধে রাজধানীর সবজি ও মাংসের বাজার বেসামাল। শুক্রবার সবজির দাম কেজি প্রতি বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। আর মাংসের দাম কেজি প্রতি বেড়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বাজারে সবজির ঘাটতি না থাকলেও পরিবহণ খরচ বেশির কারণে বেড়েছে বেশিরভাগ সবজির দাম। আর রাজনৈতিক অস্থিরতার সঙ্গে চামড়ার দাম কমে যাওয়া ও বাংলাদেশে ভারতীয় গরুর প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করায় মাংসের বাজারও অস্থির। রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর বাজারের মাংস বিক্রেতা আলী আযম জানান, হরতাল-অবরোধের কারণে নগরীতে গরুর ট্রাক ভাড়া প্রায় দুই থেকে তিনগুণ বেড়েছে। এ ছাড়া চামড়ার দাম পড়ে যাওয়ার কারণে মাংস বিক্রেতারা মাংসের দাম বাড়িয়ে ক্রেতাদের কাছ থেকে তা পুষিয়ে নিচ্ছেন। বিক্রেতারা প্রতি কেজি গরুর মাংসের দাক হাঁকছেন ৩৫০ টাকা। যা মাস খানেক আগে ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। আর খাসীর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা। এক মাস আগে বিক্রি হয়েছিল ৫০০ থেকে ৫২০ টাকা পর্যন্ত।
চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় পরিবহণ খরচ বেড়ে যাওয়ায় টমেটো, বেগুন, পটল, মূলা, সিম, কাঁচা মরিচসহ দাম বেড়েছে বেশিরভাগ সবজিরই। তবে বিক্রেতারা বলছেন, কিছুটা কম লাভে অনেক সবজিই আগের দামে বিক্রি করছেন তারা।
রাজধানীর মাছ বাজারেও দেখা গেল ক্রেতাদের চরম ক্ষোভ। বিক্রেতারা বলছেন, খাল-বিল শুকিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি পরিবহণ সঙ্কটে দাম বেড়েছে মাছের। বেশিরভাগ মাছের দাম ২৫ টাকা পর্যন্ত বাড়লেও চিংড়ি, পাবদাসহ কোনো কোনো মাছের দাম বেড়েছে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। এ বাজারে প্রতি কেজি রুই-কাতল ২২০ থেকে আড়াইশ, শিং ৮শ, চাষের কই ২শ আর ৮শ গ্রাম ওজনের একহালি ইলিশের দাম রাখা হচ্ছে ২৮শ টাকা। ক্রেতা জসিম উদ্দিন বলেন, বাজারে সবজি বা মাংসের কোনো ঘাটতি নাই। এরপরেও বিক্রেতারা বেশি মূল্যে বিক্রি করছেন। সব মিলিয়ে আমাদের মতো সাধারণ জণগণের উপরই চাপ সৃষ্টি হয়।
রাজনৈতিক সংকট সমাধানের পাশাপাশি কাঁচা ও নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল করতে রাজনৈতিক দলগুলো ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করেন এই ক্রেতা।



মন্তব্য চালু নেই