টানা দু’বারের বর্ষসেরা পুরস্কার মুশফিকুর রহিমের হাতে

শুধু ক্রীড়াবিদরা না যারা খেলাধুলা ভালোবাসেন সবাই অপেক্ষা করেন বছরের এই একটি দিনের জন্য। যেদিন একই ছাদের নিচে জড়ো হয় বাংলাদেশের সব খেলার নামীদামী ক্রীড়াবিদরা। সেই কাঙ্ক্ষিত রাতটি ছিল শুক্রবার। শুক্রবার রাতে আলো ঝলমলে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রধান করা হল রূপচাঁদা-প্রথমআলো ক্রীড়া পুরস্কার।

অনুষ্ঠানের ২০১৪ সালের বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদের নাম প্রকাশের আগে পুরো হল জুড়ে তৈরি হয় এক মজার আবহ। ২০১৪ সালের ক্রীড়াবিদের নাম প্রকাশের আগে তার অর্জনগুলো একে একে বলতে থাকেন সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাসার সুমন। সে দব শুনে সবাই বুঝে গিয়েছিল কে হতে যাচ্ছেন বর্ষ সেরা।

কিন্তু অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা তার সভাব সুলভ মজা করা আটকাতে পারলেন না। অনুষ্ঠানের প্রচারপত্র দিয়ে পুরস্কার প্রাপ্ত ক্রীড়াবিদের মুখ ঢেকে দিলেন। কিন্তু ততক্ষনে সবাই বুঝে গেছেন ২০১৪ সালের বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদের পুরস্কার পেতে যাচ্ছেব টেস্ট দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।

টানা দ্বিতীয়বারের মতো বর্ষসেরা মুশফিকুর রহিম। যার অধীনে তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক, সেই হাবিবুলের হাত থেকেই পুরস্কার নিলেন বাংলাদেশ দলের বর্তমান টেস্ট অধিনায়ক। বিচারকদের রায়ে ২০১৩ বর্ষসেরা ক্রীড়াবিদ হয়েছিলেন। পরের বছরও জয় হলো তারই। টানা দ্বিতীয়বার পুরস্কার জিতবেন ভেবেছিলেন? মুশফিক উত্তর দেওয়ার আগেই কথা কেড়ে নিলেন পাশে বসা মাশরাফি, ‘ওই বছরে টেস্ট-ওয়ানডেতে ৪০-এর ওপর গড়, পাবে না কেন?’ বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়কের সাফল্য যেন ছুঁয়ে যাচ্ছে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ককেও।

২০১৪ সালে ৭ টেস্টে ১ সেঞ্চুরি, ২টি হাফ সেঞ্চুরিসহ ৩৯.৩৬ গড়ে করেছেন ৪৩৩ রান, যেটি বাংলাদেশের পক্ষে তৃতীয় সর্বোচ্চ। ওয়ানডেতে ১৮ ম্যাচে ৪৪ গড়ে ১টি সেঞ্চুরি ও ৬ ফিফটিতে রান ৭০৪, বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ। সেন্ট ভিনসেন্ট টেস্টে ফলো-অনে পড়ে লড়াকু ১১৬ রান, ফতুল্লায় এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে ১১৭ রানসহ রয়েছে আরও বেশ কটি মুগ্ধতা ছড়ানো ইনিংস।

বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস নিয়ে মুশফিক যখন মঞ্চে ওঠেন চারদিকে তখন কড়তালিতে মুখর। পুরস্কার হাতে মুশফিক বলেন, ‘অবশ্যই ভালো লাগছে। ধারাবাহিকতা বজায় থাকল। ২০১৩-এ পেয়েছি, ২০১৪ সালেও পেলাম। আমার বাবা-মা ও স্ত্রীকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমাকে তাঁরা অনুপ্রাণিত করেছেন এবং পাশে থেকেছেন। পুরস্কার যেকোনো খেলোয়াড়কেই অনুপ্রাণিত করে। আপনি যেটা করবেন সেটার যদি স্বীকৃতি পান, ভালো তো লাগবেই। চেষ্টা করব সামনে আরও ভালো করতে।’



মন্তব্য চালু নেই