টাকার নেশায় সকাল থেকে রাত, কি করেন একজন পর্নস্টার? গোপন রহস্য ফাঁস…

‘পর্নস্টার’ দের নিয়ে অনেকেরই অনেকরকম ধারনা রয়েছে৷ তবে এই যৌনতার আড়ালে লুকিয়ে থাকে বহু যন্ত্রণা। মারাত্মক শারিরীক পরিশ্রম, মানসিক তো বটেই। কারণ ক্যামেরার সামনে এধরনের কাজ করা মোটেও মজার কথা নয়, এক্ষেত্রে দরকার হয় মানসিক প্রস্তুতি৷ নীলছবির দুনিয়াটা এতটাই নির্মম যে প্রান খুলে জীবনকে উপভোগও করতে পারেননা তাঁরা৷ কারণ, চরম ব্যাম্ততা৷

পর্নস্টারদের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে যে দিনলিপি উঠে এসেছে, তা অত্যন্ত কষ্টকর। কেমন সেই দিনলিপি? দেখে নেওয়া যাক নীচের রুটিন। পর্নস্টারদের সঙ্গে কথা বলে মোটামুটি এই রুটিনই পাওয়া গিয়েছে।

সকাল ৬টা— সকাল ৬টার মধ্যেই উঠতে হয়। বরং বলা ভাল, দিনের জন্য তৈরি হতে হয় সকাল ৬টার মধ্যে।

সকাল ৭টা— জিম। শরীর ফিট রাখতে প্রবল খাটতে হয় জিমে। অন্তত দু’ঘণ্টা ।

সকাল ৯টা— শ্যুটিং স্পটের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়া।

সকাল ১০টা— শুরু হয় মেক-আপ। দেখে মনে হতে পারে এক্ষেত্রে কী-ই বা মেক-আপ লাগে। কিন্তু বাস্তব হল, অন্যান্য শুটিং এর মতো এক্ষেত্রেও মেক-আপ কিন্তু সময়সাপেক্ষ।

সকাল ১১টা— শুরু হয় স্টিলের শ্যুটিং। এই ফোটোশ্যুট চলে প্রায় দু’ঘণ্টা।

দুপুর ১টা— শুরু হয় ফিল্ম শ্যুটিংয়ের প্রস্তুতি। ফের এক প্রস্থ মেক-আপ, স্ক্রিপ্ট নিয়ে আলোচনা।

দুপুর ২টো— শুরু হয় ফিল্মের শ্যুটিং। বিভিন্ন পর্যায়ে চলে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত।

সন্ধে ৬টা— নির্দিষ্ট ফিল্মটির যদি কোনও ‘সফ্‌টকোর’ ভার্সান থাকে, তাহলে শুরু হয় তার শ্যুটিং। ফের শুরু স্টিল ফোটোশ্যুট থেকে। সব মিলিয়ে চলে রাত ৯-১০টা পর্যন্ত।

সাধারণ মানুষের চাকরির শর্তেও তা দিনে ৯ ঘণ্টার বেশি যায় না। তার বেশি হলে সরকারের কাছে বিহিত চাওয়ার আইনি সংস্থান রয়েছে পৃথিবীর প্রায় সব দেশে। পর্নস্টারদের ডিউটি সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা। উপরের রুটিন খেয়াল করলে দেখা যাচ্ছে, তাতে মধ্যাহ্নভোজের জন্য নির্দিষ্ট কোনও সময় বাঁধা নেই, প্রয়োজনে বিহিত চাওয়ার জায়গাও নেই। ব্যক্তিগত সময় বলে কিছু নেই, নেই সামাজিক জীবনও, ওদের জীবন বলতে ক্যামেরার সামনে কেবলই যান্ত্রিক যৌনতা।

এত কিছুর পরেও পর্নস্টারদের কেরিয়ারের মেয়াদ খুব বেশি হলে ৪-৫ বছর। তার পরেই তাঁদের হয় সরে যেতে হয়, নইলে সরিয়ে দেওয়া হয়। এর পরেও কি বলা চলে এমন যৌনতায় গা ভাসিয়ে ভিষন আনন্দ উপভোগ করেন তাঁরা?কলকাতা২৪



মন্তব্য চালু নেই