টাকাদরে ঘুম !

পৃথিবীতে কারো কারো কাছে সবচেয়ে শান্তির কাজটি হল ঘুম। রাতে নির্ভেজাল আর পরিপূর্ণ একটি ঘুম সারাদিনের কর্মচাঞ্চল্যকে সচেজতা দান করতে বেশ কাজে দেয়। রাতের ঘুমের পরও কারও কারও দিনে ঘুমানোরও অভ্যাস থাকে। যাদের দিনে ঘুমানোর অভ্যাস বেশ কড়া আসক্তিতে রূপ নিয়েছে তাদের ক্ষেত্রে আবার অনেক সময় তা সমস্যার কারণ হতে পারে। বিশেষকরে যারা চাকরিজীবী তাদের ক্ষেত্রে এটা বেশ অসুবিধাজনক। অফিসে দুপুরে খাওয়ার পর চেয়ারে একটু গা এলিয়ে ঘুমিয়ে গেলেন। আর তা যদি বসের নজরে আসে তাহলে তো আর রক্ষা নেই। তাই এই সমস্যা সমাধানে দক্ষিণ কোরিয়ায় রয়েছে এক বিশেষ ব্যবস্থা।

যারা কাজের ফাঁকে অফিসে ঘুমিয়ে পড়েন তাদের জন্য বিশেষ পার্লারের ব্যবস্থা রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে। কাজ করতে গিয়ে ক্লান্ত লাগলে সেখানে কর্মজীবীদের আর অফিসের টেবিলে মাথা রেখে ঘুমাতে হয় না। তারা পার্লারে গিয়ে কিছুক্ষন ঘুমিয়ে নিতে পারেন। তবে সেটার জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পরিশোধ করতে হয়।

দক্ষিণ কোরীয় ওই পার্লারগুলো এই ঘুমকে বলে ‘পাওয়ার ন্যাপ’ অর্থাৎ কাজের ফাঁকে কিছুক্ষণের জন্য ঘুমানো। রাজধানী সিউলে এই বিশেষ ঘুম পার্লারের জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলছে। বিবিসির এক পযর্বেক্ষন দল দেশটির সংবাদমাধ্যম জোসান ইলবোর বরাত দিয়ে জানায়, ‘রাজধানীতে টাকার বিনিময়ে ঘুমান যায় এরকম পার্লারের সংখ্যা বাড়ছে আর তা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এসব পার্লারে ঘুমাতে হলে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পরিশোধ করতে হয়। এর ফলে অফিসে ঘুমানো লোকের সংখ্যা কমে গেছে’।
কর্মজীবী এক লোক এক কোরীয় দৈনিকের কাছে বলে, ‘আমি আগে অফিসে কাজের ফাঁকে প্রায়ই টেবিলে কিংবা টয়লেটে ঘুমিয়ে পড়তাম। এখন আমি প্রতিদিন পার্লারে যাই কিছুক্ষণ ঘুমানোর জন্য।’

অন্যন্য এশীয় দেশগুলোর তুলনায় দক্ষিন কোরিয়ায় বেশ লম্বা সময় কাজ করতে হয়। এদের কাজের চাপও অনেক বেশি। তাই কর্মজীবীদের বিশ্রামের জন্যই এই পার্লার। পার্লারগুলোতে বেশ আরামদায়ক চেয়ার, বিছানা ইত্যাদির ব্যবস্থা রয়েছে। পাশাপাশি এখানে বিশেষ ম্যাস্যাজেরও ব্যবস্থা রয়েছে। তবে তার জন্য অতিরিক্ত টাকা পরিশোধ করতে হয়।



মন্তব্য চালু নেই