টাইটানিক ডুবতে চলেছে, সবার আগে দেখতে পান যিনি

তাঁর কেবিন থেকে তিনি প্রথমে টের পাননি কী ঘটেছে। ক্যাপটেন এডওয়ার্ড জে স্মিথ তাঁর কাছে বার্তা পঠান, হিমশৈলের সঙ্গে জাহাজের সংঘর্ষ ঘটেছে। টাইটানিক-এর প্রথম সমুদ্রযাত্রাকে মিস করতে চাননি তিনি। কারণ, টাইটানিক তাঁর নিজেরই সন্তান। টাইটানিক-এর নকশা এঁকেছিলেন তিনি। তিনি জানতেন, এই জাহাজের শক্তি কোথায় আর দুর্বলতাই বা কোথায়। তবে, টাইটানিক-এর স্থপতি টমাস অ্যান্ড্রুজ দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি, বিশ্বের এই বিস্ময়টি এভাবে ডুবে যাবে। দুর্ঘটনার রাতে অ্যান্ড্রুজ তাঁর কেবিনেই ছিলেন। কিন্তু তাঁর কেবিন থেকে তিনি প্রথমে টের পাননি কী ঘটেছে। ক্যাপটেন এডওয়ার্ড জে স্মিথ তাঁর কাছে বার্তা পঠান, হিমশৈলের সঙ্গে জাহাজের সংঘর্ষ ঘটেছে।

সঙ্গে সঙ্গে অ্যান্ড্রুজ আঁচ করতে পারেন ঘটনার গুরুত্ব। জাহাজের নকশা দেখে তিনি তৎক্ষণাৎ জানান, জাহাজডুবি ঘটতে পারে। এর দুই ঘণ্টা পরেই জাহাজ ডুবতে শুরু করে। আয়ারল্যান্ডের এক অভিজাত পরিবারের সন্তান অ্যান্ড্রুজ টাইটানিকের আগে নকশা তৈরি করেছেন আরএমএস ওশিয়ানিক, আরএমএস বল্টিক-এর মতো বিশাল জাহাজের। টাইটানিকের যমজ আরএমএস ওলিম্পিক-এর নকশাও অবধারিত ভাবে তাঁরই।

জাহাজ যখন ডুবছে, তখন অ্যান্ড্রুজ অবতীর্ণ হন অন্য ভূমিকায়। তিনি লাইফজ্যাকেট গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন। নিজে দাঁড়িয়ে থেকে মহিলা ও শিশুদের লাইফ বোটে তুলে দিতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত টাইটানিকের সঙ্গে তিনিও তলিয়ে যান সমুদ্রগর্ভে। সম্প্রতি আয়ারল্যান্ডের বেলফাস্টে অ্যান্ড্রুজের সম্মানে তাঁর নকশায় তৈরি এসএস নোম্যাডিক জাহাজটিকে নিয়ে আসা হল প্রদর্শনীর জন্য। দেশের মানুষ শ্রদ্ধা জানালেন প্রকৃত বীর-কে।



মন্তব্য চালু নেই