টলিউডে আইপিএল জ্বর!

আইপিএল নিয়ে মেতেছে গোটা ভারত। বাদ যাননি অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও। ইতোমধ্যে অনেকেই প্রিয় দলের জার্সি কিনে ফেলেছেন। বিভিন্ন পোজ দিয়ে ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করছেন। এদিকে টালিগঞ্জ মানেই কলকাতা নাইট রাইডার্স এর সমর্থক। শুধু দলেরই নয়, আছে শাহরুখ ভক্ত অভিনেত্রীরাও। তাই কেকেআর’র খেলায় মাঠে দেখা যায় টলিউডের অনেক পরিচিত মুখ। তবে আছে ব্যতিক্রমও। অনেকেই অন্য দলকে সমর্থন দিচ্ছেন।

সোহিনী: শাহরুখ মাঠে আসবেন ছেলেকে নিয়ে। এই উৎসাহে জনতা পাগল। আমার মনে হয় আইপিএল শুধু ক্রিকেট নয়। একটা পাগলামিও। আমি যে মাঠে গিয়ে সেলফি তুলব এ রকমটা কিন্তু ভাবছি না। বরং আইপিএল-এর এই বিশ্ব খেলোয়াড়দের জমায়েত দেখে আমার মনে হয়, সিনেমায় যদি আইপিএল হতো! দীপিকা পাড়ুকোন যদি আবির চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছবি করতেন। আমি হয়তো সিদ্ধার্থ মালহোত্রা বা বরুন ধাওয়ানের সঙ্গে ছবি করতাম। তবে যাই হোক, দলের ক্ষেত্রে নাইট রাইডার্সের জন্য রইল আমার শুভেচ্ছা।

সায়ন্তিকা: আগে খুব একটা ক্রিকেট নিয়ে মাথা ঘামাতাম না। কিন্তু ক্রিকেট বেঙ্গল টাইগার্সের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডর হওয়ার পর ক্রিকেটটা মন দিয়ে দেখি। আমি কেকেআর-এর ডাই হার্ড ফ্যান। যে বার কেকেআর জিতল সে বার তো আমি আমার বাড়িতে একজনকে খেলা চলার সময় ঢুকতে দিতাম না। আরে! সে ঢুকলেই কেকেআর-এর উইকেট পড়ত। এ বার সুযোগ পেলে অবশ্য মাঠে চলে যাব।

সন্দীপ্তা: আমার ছোটবেলা থেকেই খেলা নিয়ে বাড়িতে একটা উত্তেজনা চলতো। ক্রিকেট হলেই বাবা-মা টিভির সামনে। বাবার পছন্দের দল হেরে গেলে তো বাবা আমাকে দোষ দিয়ে বলতো –‘তোর জন্য হেরে গেল!’ আমার জেঠু ক্রিকেট কোচ, তাই বাড়িতে সারাক্ষণ খেলা নিয়ে আলোচনা শুনে বড় হয়েছি। এ বার ইচ্ছে আছে মাঠে গিয়ে নাইট রাইডার্সের খেলা দেখার। আমি চাই ওরাই ট্রফি জিতুক।

ঋতাভরী: কেকেআর–এ দাদা নেই! আমার কাছে ক্রিকেট মানেই সৌরভ গাঙ্গুলী। তাই কলকাতার মেয়ে হলেও আমি মুম্বাই ইন্ডিয়ানস্-কেই সমর্থন করব। প্রত্যেকবার আমাদের হোয়াটস্অ্যাপ গ্রুপের বন্ধুরা সবাই মিলে আমার বাড়িতেই টিভিতে খেলা দেখে। আমি ঘুমিয়ে পড়লেও ওরা জোর করে আমায় জাগিয়ে রাখে। আসলে ক্রিকেটটা আমাদের ‘রিলিজিয়ন’। ওটা আর খেলা বা বিনোদন নেই। তবে এ বার কাজের জন্য বেশির ভাগটাই মুম্বাইয়ে থাকতে হবে। কলকাতার বন্ধুদের খুব মিস্ করব।

ঋদ্ধিমা: নাইট রাইডার্স ছাড়া আর কোনও টিমকে সাপোর্ট করার কথা ভাবতেই পারি না। ক্রিকেট মোটামুটি ফলো করি। এর আগেও খেলা দেখতে গিয়েছি। এ বারেও যাব। সঙ্গে গৌরব (চক্রবর্তী) অবশ্যই থাকবে। একসঙ্গে মিলে নাইট রাইডার্সের জন্য গলা ফাটাব। আর গ্যালারিতে যদি শাহরুখ খান থাকেন, তা হলে তো কথাই নেই, সোনায় সোহাগা!-আনন্দবাজার



মন্তব্য চালু নেই