ঝিনাইদহ যুবদল কর্মীর লাশ ৯ দিন পর চুয়াডাঙ্গা থেকে উদ্ধার

ঝিনাইদহ যুবদল কর্মী মিরাজুল ইসলাম মির্জার (২৭) গুলিবিদ্ধ লাশ বুধবার ঝিনাইদহ চুয়াডাঙ্গা সীমান্তের খাড়াগোদা গ্রামের পান্নাতলা মাঠ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত মিরাজুল ইসলাম ঝিনাইদহ শহরের কাঞ্চননগর গ্রামের বাদাম বিক্রেতা জোনাব আলীর ছেলে। বুধবার দুপুর দুইটার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে মিরাজুলের মা বুলবুলি খাতুন ছেলের লাশ সনাক্ত করেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান মুন্সি জানান, বুধবার সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার ভুলটিয়া ও খাড়াগোদা গ্রামের মাঠে একটি লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসি পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে সিন্দুরিয়া ও তিতুদহ পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

নিহত মিরাজুলের মা বুলবুলি খাতুন জানান, গত মঙ্গলবার (১৭ মার্চ ২০১৫) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সাদা পোশাকের একদল অস্ত্রধারী তার ছেলেকে তুলে নিয়ে যায়। সেই থেকে গত ৯দিন ধরে তার ছেলে নিখোঁজ ছিল।

ঘটনার পর ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আরিফুল ইসলাম আনন, নিখোঁজ মিরাজুলকে তাদের দলের কর্মী বলে দাবী করে আসছিল।

এদিকে জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে সন্দেহ নেই যে, আইনশৃংলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাই মিরাজুলকে অহরণের পর হত্যা করেছে। মিরাজুল ইসলামের লাশ নিয়ে আসার জন্য বিএনপি ও তার পরিবারের সদস্যরা চুয়াডাঙ্গায় যান এবং রাতে দাফন করা হয়।



মন্তব্য চালু নেই