ঝিনাইদহের কিছু খবর :

ঝিনাইদহে বিএনপি জামায়াতসহ ২৫ জনকে গ্রেফতার

ঝিনাইদহের বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, জামায়াত ও শিবিরের দশ নেতাকর্মীসহ পঁচিশজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে থেকে বুধবার ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে এদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ঝিনাইদহ সদর থানায় ১২ জন, শৈলকুপা থানায় ৩ জন, মহেশপুর থানায় ৪ জন, কালীগঞ্জে ২জন, কোটচাঁদপুরে ২ জন ও হরিণাকুন্ডু উপজেলায় ২ জন রয়েছেন। গ্রেফতার বিএনপি নেতাদের মধ্যে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক এনামুল হক মুকুল, ছাত্রদলের কেসি কলেজ শাখার সভাপতি মনিরুজ্জামান মাসুম, আশরাফুল ইসলাম আশা, এনামুল হক, জালাল উদ্দীন, হরিণাকুন্ডুর হাফিজুর রহমান, বদর উদ্দীন ও যুবদল নেতা আলম রয়েছেন।

ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান জানান, নাশকতা সৃষ্টির আশংকায় বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, জামায়াত ও শিবিরের এ সব নেতাকর্মীসহ ২৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে বুধবার দুপুরে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি মসিউর রহমান এই গনগ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানিয়ে তাদের মুক্তি দাবী জানিয়েছেন।

এদিকে ২০ দলীয় জোটের ডাকা বৃহস্পতিবারের হরতালের সর্মথনে জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি।

বুধবার দুপুরে শহরের সোনালী ব্যাংকের সামনের থেকে ও ফায়ার সার্ভিস এলাকা থেকে যুবদল ও বিএনপি পৃথক পৃথক মিছিল বের করে। মিছিল শেষে জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আহসান হাবিব রণক, জেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মনিরুল ইসলাম, পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান ইপিয়ার, ছাত্রদল নেতা মনির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

 

ঝিনাইদহের ৮৩ শিক্ষকের হাইকোর্টে রিট
ঝিনাইদহের রেজিষ্টার্ড বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্যানেলের আরও ৮৩ জনকে নিয়োগের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।

ঝিনাইদহের ৮৩ জন প্রাথমিক শিক্ষক যৌথভাবে এই রিট আবেদন দােিয়র করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানী শেষে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি কাজী মো: ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ সোমবার এ রুল জারি করেন।

সরকারের সংশ্লিষ্টদের ৪ সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। রিটকারীদের পক্ষে এ্যাড. বি এম রাফেল ও এ্যাড. মনিরুজ্জামান লিংকন এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম। রিটকারী শিক্ষকরা জানান, রেজিষ্টার্ড বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০০৯ সালে দরখাস্ত আহ্বান করা হয়। এর পর লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে নিয়োগের জন্য ২০১২ সালের ৯ এপ্রিল মেধা তালিকা প্রকাশ করে। নিয়োগের জন্য মোট উত্তীর্ণ হয় ৪২ হাজার ৬’শ ১১ জন। এর মধ্যে ১০ হাজারের মত নিয়োগ দেওয়ার পর সরকার নিয়োগ বন্ধ করে দেয়।

সরকারের এই সিদ্ধাান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ঝিনাইদহের শাহিনুর রহমানসহ ৮৩ জন শিক্ষক এই রিট দায়ের করেন। গত ১৫ ডিসেম্বর একই বেঞ্চ পৃথক ৩টি রিটের চুড়ান্ত নিষ্পত্তি করে ২৬৮ জনকে নিয়োগের নির্দেশ দেন।



মন্তব্য চালু নেই