ঝিনাইদহের কিছু খবর :

ঝিনাইদহের টানা অবরোধে ক্ষতিগ্রস্থ সবজি চাষীরা

টানা অবরোধের কারণে ঝিনাইদহের ৬টি উপজেলার সবজি চাষীরা বিপাকে পড়েছে। তাদের উৎপাদিত সবজি বাজারে নিয়ে গিয়ে পাইকার ব্যবসায়ী না থাকায় এবং সঠিক দাম না পাওয়ায় লোকসানের শিকার হচ্ছে।

অনেক কৃষক সবজির মূল্য না পেয়ে ক্ষেত থেকে সবজি না তুলে নষ্ট করে দিচ্ছে। পাইকার ব্যবসায়ীদের অভিযোগ তারা পরিবহন না পাওয়ায় সবজি ক্রয় করে পাঠাতে পারছে না।

সরেজমিন জেলার সবজি উৎপাদনের এলাকা হিসেবে পরিচিত কালীগঞ্জের বারোবাজার ও মহেশপুরের খালিশপুর বাজার এলাকা ঘুরে এবং কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, টানা অবরোধের কারণে কৃষকের জমিতে উৎপাদিত বাঁধাকপি, মূলা, বেগুন, পাতাকপি, কাঁচা মরিচ বাজারে নিয়ে গিয়ে কাঙ্ক্ষিত দাম পাচ্ছে না।

অবরোধের কারণে বেগুন ৩/৪ টাকা, মূলা ২ টাকা, পাতা কপি ১ টাকা, বাঁধাকপি ৪/৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন। অনেক কৃষক সবজির মূল্য না পাওয়ায় বাজারে তুলছেন না তা।

বারোবাজার এলাকার কৃষক জয়নাল হোসেন জানান, তিনি এবার প্রায় ৩ বিঘা জমিতে বেগুন ও বাঁধাকপি চাষ করেছে। অবরোধের আগে তিনি বেগুনের বেশ ভালই দাম পেয়েছিলেন। কিন্তু এখন বেগুন বাজারে আনলে কেনার লোক নেই। লাভ তো দূরের কথা অনেক ক্ষেত্রে বাজারে পণ্য নিয়ে যাওয়ার ভ্যানভাড়াও উঠছে না।

কৃষক আনোয়ার জানান, তিনি বাঁধাকপি ও মূলা এনেছেন এক ভ্যান। কিন্তু কোনো পাইকার তার সবজি কিনছে না। বাধ্য হয়েই স্থানীয় খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

মহেশপুরের খালিশপুর গ্রামের কৃষক আয়ুব হোসেন জানান, তাদের উৎপাদিত সবজি অবরোধের কারণে বিক্রি করতে পারছেন না। তিনি জানান, এই এলাকায় যদি সবজি রাখার জন্য হিমাগার থাকতো তাহলে তাদের সবজিগুলো কম দামে বিক্রি করতে হতো না। তাদের উৎপাদিত সবজিগুলো সেখানে রাখতে পারতো। কৃষকের কথা কেউ ভাবে না। রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মুখ থেকে বলতে শোনা যায় কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। আসলে তারা নিজেদের নিয়ে কথাই ভাবে।

পাইকারী ব্যবসায়ী মনির হোসেন জানান, এলাকার বাজারে অনেক সবজি উঠে। কিন্তু তারা পরিবহণ না পাওয়ায় কারণে বেশি পরিমাণের সবজি কিনতে পারছে না। যতটুকু পারছে তা ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পাঠাতে পরিবহণ খরচ বেশি পড়ছে।

 

ঝিনাইদহে নির্যাতনের শিকার স্বামী স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের!
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে স্ত্রী নির্যাতনে শিকার হয়ে বাচ্চু মিয়া নামের এক যুবক দেউলিয়া হয়ে পড়েছে। মানসিক ও অর্থনৈতিকভাবে নির্যাতনের শিকার বাচ্চু মিয়া বিচারের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তার মামলা নেয় নি।

অবশেষে আদালতের স্মরনাপন্ন হলেও স্ত্রী পরিবারের আতœীয়-স্বজন তাকে মামলা তুলে নেবার জন্য বিভিন্নভাবে হুমকি দামকি দিচ্ছে।

প্রাপ্ত অভিযোগে জানা গেছে, ২০০৬ সালের ২৯ এপ্রিল ঝিনাইদহ শৈলকুপা উপজেলার ভাটই দক্ষিণপাড়া গ্রামের খিলাফত মল্লিকের মেয়ে ডলি খাতুনের সাথে বাচ্চুর বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। এরপর থেকে স্ত্রী বাচ্চুর সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খারাপ আচরণ শুরু করে। বিভিন্ন সময় তাকে মানসিকভাবে নির্যাতন চালাতে থাকে।

সম্প্রতি বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী ডলি খাতুন তার পিতা খিলাফত মলি¬ককে বাড়ির ছাদ দেবার জন্য ৫০ হাজার টাকা ধার দিতে বলে। গত ১৬ ডিসেম্বর’২০১৪ ইং তারিখে বাচ্চু টাকা ধার দিতে অস্বীকার করলে তার স্ত্রী ডলি খাতুন ও শ্বাশুড়ী নিফুফা পারভীন বাচ্চুর সাথে খারাপ ব্যবহার করে। এক পর্যায়ে বাচ্চু তার দোকানে চলে গেলে মোকামের জন্য বাড়িতে রাখা ৫৫ হাজার টাকা, একটি স্বর্ণের চেইন ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ মালামাল চুরি করে নিয়ে যায় স্ত্রী ডলি খাতুন ও শ্বাশুড়ী নিলুফা পারভিন। এতই তারা ক্ষান্ত হয়নি।

বাপের বাড়িতে যেয়ে স্ত্রী ডলি স্বামী বাচ্চুর বিরুদ্ধে একটি যৌতুক মামলা দায়ের করে। অসহায় বাচ্চু বিষয়টি বিভিন্ন ব্যক্তিকে জানায়। বিচারের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়ায়। থানায় জিডি করতে যায় কিন্তু থানা পুলিশও তার জিডি নেয়নি। অবশেষে বাচ্চু আদালতে স্ত্রীর বিরুদ্ধে টাকা ও স্বর্ণের চেইন চুরির মামলা করেন। কিন্তু মামলা দায়েরের পর বাচ্চুকে স্ত্রীর পরিবারের আতœীয়-স্বজনরা বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। স্ত্রী তার টাকা চুরি করে নেয়ার বাচ্চুর দোকানের ব্যবসা-বানিজ্য হারিয়ে দেউলিয়া হয়ে পড়েছে।



মন্তব্য চালু নেই