ঝিনাইগাতীতে অবিরাম বর্ষণে ও পাহাড়ী ঢলে নিম্ন এলাকা প্লাবিত

শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলায় গত ৩দিনের অবিরাম বর্ষণে ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে নিম্ন এলাকাগুলো আবারও প্লাবিত হয়েছে। জনজীবণ হয়ে পড়েছে বিপর্যস্ত। ব্যবসায়ী প্রতিষ্টানগুলোতে ক্রেতাশূন্যে। অতি বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলের কারনে আসছে কোরবানীর ঈদের আনন্দ ম্লান হতে চলেছে বন্যাকবলিত নিম্ন এলাকার মানুষগুলোর।

গত কয়েকদিন পূর্বে যে সকল এলাকা আকস্মিক বন্যার কারনে প্লাবিত হয়ে সেখানকার মানুষজন সবে মাত্র ক্ষতি কাটিয়ে মাথা তুলে দাড়ানোর চেষ্টা ঠিক এই সময়ে আবারও অতিবৃষ্ঠির কারনে গ্রামীন রাস্তাঘাট চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে রোপিত আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হওয়ার পরেও কৃষকরা শেষ সময়ে চড়া দামে চারা সংগ্রহ করে রোপন করে।

এ অবস্থায় আবারও নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হওয়ার কারনে কৃষকের মাথায় হাত। প্লাবিত এলাকাগুলোর মধ্যে সারিকালীনগর, দড়িকালীনগর, দাড়িয়ারপাড়, বনগাও চতল, কান্দুলী ,উত্তর কান্দুলী, ধানশাইল, আয়নাপুর ও বগাডুবি’র নিচু এলাকার মানুষরা বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে।

দক্ষিন কান্দুলী গ্রামের সদর আলী, আজির রহমান, তোফাজ্জল, ফটিক, মুক্তি, লাল মিয়া সহ আরো অনেকেই এ প্রতিনিধিকে জানান, “দক্ষিন কান্দুলী গ্রামের ৪০/৫০টি বাড়ী বার বার প্লাবিত হওয়ার পরেও সরকারী বে-সরকারী কোন ধরনের সহযোগীতা আমাদের কপালে জুটেনি”। সামনে কোরবানীর ঈদ আসলেও তাদের মাঝে ঈদের কোন আমেজ নেই।



মন্তব্য চালু নেই