মেয়র আফাজল হোসেন চাঁদাবাজী মামলায় কারাগারে ও তার প্রধান সহযোগী ১নং প্যানেল মেয়র রহস্য জনক কারনে আত্মগোপনে থাকায় পৌরসভার কার্যক্রমে অচলাবস্থা নিরসনের বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে চাওয়া জরুরী ভিত্তিতে মতামত সহ প্রতিবেদন বুধবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় প্রেরন করা হয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে। গত ৯মার্চ মন্ত্রনালয় ঝালকাঠি পৌরসভার আর্থিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষে ২নং প্যানেল মেয়র রেজাউল করিম জাকিরকে দায়িত্ব প্রদান প্রসঙ্গে পৌর শাখা-১ এর উপসচিব খলিলুর রহমান সাক্ষরিত পত্রের সূত্র অনুযায়ী এ প্রতিবেদন প্রেরন করা হয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।

মন্ত্রনালয়ে প্রেরীত ৪৬. ০৬৩. ০২৭. ০১. ০০. ০০৭. ২০১৩ অফিস ৩৮৬ নং স্মারক পত্রে উল্লেখ করা হয়, উপর্যুক্ত বিষয়ে ঝালকাঠি পৌরসভার ২নং প্যানেল মেয়র রেজাউল করিম জাকির কর্তৃক প্রাপ্ত পত্রের মর্মানুযায়ী ঝালকাঠি পৌরসভার আফজাল হোসেন বর্তমানে কারাগারে আটক থাকায় এবং ১নং প্যানেল মেয়র প্রনব কুমার নাথ ভানুর বিরুদ্ধে ঝালকাঠি থানা সহ দুদকে মামলা তদন্তাধীন থাকায় রহস্য জনক অনুপস্থিতির বিষয়টি যাচাই-বাছাই পূর্বক জরুরী ভিত্তিতে মতামত সহ একটি প্রতিবেদন প্রেরনের জন্য নির্দেশ ক্রমে অনুরোধ করেন।

মন্ত্রনালয়ে ৪৬. ০৬৩. ০২৭. ০১. ০০. ০০৭. ২০১৩ অফিস ৩৮৭ নং স্মারকে পৃথক পত্রে ঝালকাঠি পৌরসভার ১নং প্যানেল মেয়র প্রনব কুমার নাথ ভানুর বিরুদ্ধে মহামন্য হাইকোর্ট বিভাগে দায়েরকৃত রীটপিটিশন নং ১৭৯৩/২০১৫ এর প্রেক্ষিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন বিষয়ে অপর এক পত্র প্রেরন করেন। স্মারক পত্রে উল্লেখ করেন, ঝালকাঠি পৌরসভার ২নং প্যানেল মেয়র রেজাউল করিম জাকির কর্তৃক প্রাপ্ত পত্রের মর্মানুযায়ী ঝালকাঠি পৌরসভার ১নং প্যানেল মেয়র প্রনব কুমার নাথ ভানুর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত রীটপিটিশন নং ১৭৯৩/২০১৫ এর আরজি সহ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট। এবিষয়ে সরকারের সার্থ বিবেচনায় রেখে আইনানুগ পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহনে করার জন্য নির্দেশ ক্রমে অনুরোধ করেন।

জেলা প্রশাসনের নাম গোপন রাখার শর্তে নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের ফ্যাক্সবার্ত পাওয়ার পরেই ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক গত ১০ মার্চ পৌরসচিব ও নির্বাহী প্রকৌশলীকে তার কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে পৌরসভার চলমান বিষয় বিস্তারিত আলোচনা করেন। সেই সাথে ১নং প্যানেল মেয়র প্রনব কুমার নাথ ভানুর আত্মগোপনে থাকা ও তার বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলোর বিষয়ে পুলিশ সুপার ও সরকারী পাবলিক প্রসিকিউটরের কাছে চিঠি দিয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছেন। তবে জেলা প্রশাসকের প্রতিবেদনে মেয়র আফাজল হোসেন ও ১নং প্যানেল মেয়র প্রনব কুমার নাথ ভানুর বিরুদ্ধ দুদক এর অধীনে তদন্তাধীন দুটি মামলার বিষয়ে কোন তথ্য উল্লেখ বা দুদক এর মামলার তথ্য সংগ্রহের কোন উদ্দোগ গ্রহন করা হয়নি।

এ অবস্থায় পৌরসভার ৩নং প্যানেল মেয়র লতিফা হেলেন সহ ১০ কমিশনার এক লিখিত পত্রের মাধ্যমে সিনিয়র বিশেষ জজ আদালত ঝালকাঠিতে তাদের দুজনের বিরুদ্ধে গনপূর্ত বিভাগের প্রায় আড়াই লাখ টাকার গাছ কেটে বিক্রি করা ও পৌর এলাকার নতুন কলেজ সড়ক সহ অন্যান্য সড়কের পার্শবর্তী পৌরসভার মালিকানাধীন প্রায় কোটি টাকার গাছ কেটে বিক্রির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদক এর অধীনে তদন্তাধীন দুটি মামলার বিষয়ে কাউন্সিলরা জেলা প্রশাসক কে অবগত করেছেন। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের একটি সূত্র পৌরসভার চলমান বিষয়ে মন্ত্রনালয় থেকে দুটি ফ্যাক্সবার্তা প্রেরন ও সে অনুযায়ী প্রতিবেদন প্রদানের বিষয়ে নিশ্চিত করলেও এর বাইরে কোন তথ্য প্রকাশে অপারগতা প্রকাশ করেন।