জয়পুরহাটে গ্যাস উত্তোলন প্রক্রিয়া শুরু

আবিষ্কারের দীর্ঘদিন পর জামালপুর কয়লাখনি থেকে প্রাকৃতিক গ্যাস উত্তোলন প্রক্রিয়া শুরু হলো। মঙ্গলবার মাঝিপাড়া কোল বেড মিথেন স্টাডি প্রকল্পের কোর কূপ খননের উদ্বোধন করলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

পেট্রোবাংলা আয়োজিত প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ইসতিয়াক আহম্মেদ, স্থানীয় সংসদ সদস্য সামছুল আলম দুদু, জয়পুরহাট জেলা পরিষদ প্রশাসক এস এম সোলায়মান আলী ও প্রকল্পের বৈদেশিক পরামর্শক সুধাংশু অধিকারী।

এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে দেশ ও মানুষের উন্নয়ন হয়। দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের পাশাপাশি প্রতিটি গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি গ্যাস সুবিধা প্রদানের জন্য নিরলসভাবে কাজ করছে সরকার।’

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ইসতিয়াক আহম্মেদ জানান, পেট্রোবাংলার নিজস্ব অথায়নে ২ হাজার ৩৩৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকা ব্যয়ে জামালগঞ্জ কয়লাখনি প্রকল্পের ৩টি কোর কূপ খনন বাস্তবায়ন হবে। ২০১৬ এর জুনের মধ্যে এ কুপ থেকে গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হবে। এই গ্যাস দিয়ে এলাকার মানুষের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি চাহিদা মিটানোর পাশাপাশি কলকারখানাসহ উত্তরাঞ্চলের বিদ্যুৎ ও গ্যাস চাহিদা পূরণে বড় ভূমিকা পালন করবে এই প্রকল্প।

১৯৬২ থেকে ১৯৬৫ সালের এক জরিপে জয়পুরহাটের জামালগঞ্জে কয়লার সন্ধান পাওয়া যায়। ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের তথ্য অনুয়ায়ী, বাংলাদেশে যে কয়টি কয়লা খনি আছে তার মধ্যে এ খনি সবচেয়ে বড়। ১৬ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে থাকা এ খনিতে কয়লা রয়েছে মাটির ৬৪০ থেকে ১ হাজার ১৫৮ মিটার গভীরে। মজুদের সম্ভাব্য পরিমাণ ১ হাজার ৫০ মিলিয়ন টন।

এ কাজের পরামর্শক হিসেবে কাজ করছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান মাইনিং অ্যাসোসিয়েটস প্রাইভেট লিমিটেড। গত বছরের ২১ জুন কোম্পানিটির সঙ্গে চুক্তি করে পেট্রোবাংলা। প্রকল্পটির মেয়াদ চলতি বছরের জুন পর্যন্ত।

তিন কূপের প্রতিটির গভীরতা হবে এক হাজার ১০০ মিটার। এর মাধ্যমে কয়লার নমুনা সংগ্রহ, কয়লাস্তরে গ্যাসের উপস্থিতি নির্ণয় করা হবে। নমুনা ভারতে পরীক্ষা করা হবে। গত বছরের ১৪ মে জ্বালানি বিভাগ প্রথমবারের মতো এ পদ্ধতি ব্যবহারের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে পেট্রোবাংলার প্রস্তাবকে অনুমোদন দেয়।



মন্তব্য চালু নেই