জ্বালানী প্রতিমন্ত্রীর তোপের মুখে মধ্যপাড়া গ্রানাইড মাইনিং এমডি

শুক্রবার দুপুরে মধ্যপাড়া কঠিন শিলার টার্নওভারের সঠিক তথ্য দিতে না পেরে প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য এ্যাডঃ মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপির উপস্থিতিতে বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এমপির তোপের মুখে পড়েন মধ্যপাড়া গ্রানাইড মাইনিং কোম্পানী লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস,এ,এস নাজমুল আহসান হায়র্দা।
সকালে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি, তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনি পরিদর্শনে হেলিকপ্টার যোগে বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এমপি বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অবতরন করেন। পরে তিনি বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানী লিমিটেডের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে মত বিনিময় করেন।
মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য এ্যাডঃ মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এমপি এবং জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ডঃ মোজাম্মেল হক খানঁ।
মন্ত্রীদ্বয় মধ্যপাড়া গ্রানাইড মাইনিং কোম্পানী লিমিটেড পরিদর্শনে যান। সেখানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী এবং বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রীকে খনির অপারেশন সিস্টেম দেখানো হলে জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী কঠিন শিলার চাহিদা এবং উৎপাদন সর্ম্পকে জানতে চান। খনির দেশী কনসালটেন্ট আমিনুর রহমান খনির উৎপাদন উন্নয়নসহ বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ।
জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী পদ্মা সেতুসহ সরকারী ও বে-সরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্টানের পাথরের চাহিদা পুরনে এই উৎপাদন দিয়ে সমভব কিনা জানতে চাললে খনির এমডি উৎপাদন বাড়ানোর কথা বলেন, মন্ত্রী খনির উৎপাদন বৃদ্ধিতে কি করনীয় সর্ম্পকে জিঙ্গেস করলে খনির এমডি আরো একটি স্যাফট নির্মানসহ উন্নয়নে ১হাজার ৬ শ কোটি টাকা বরাদ্দের কথা বলেন ।
এসময় মন্ত্রী তাদের কাছে জানতে চান সরকার এই অর্থের যোগান দিলে আপনারা কি পরিমান টার্নওভার দিবেন? গত বছর গুলোতে কি পরিমান রির্টান দিয়েছেন কয়েকবার এই সকল প্রশ্ন করলে খনির এমডি ও কনসালটেন্ট কোন উত্তর দিতে পারেননি। একসময় কনসালটেন্ট গত বছরে তাদের খনির ৪৭ কোটি টাকা আয়ের তথ্য দিলে মন্ত্রী এতবড় প্রতিষ্টান থেকে এই আয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে ম্যানেজমেন্টের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং তাদের প্রস্তাবিত এত টাকা ইনভেষ্ট করে টার্নওভার সর্ম্পকে তথ্য দিতে না পারায় মন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে খনির এমডি সহ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে আনপ্রফেশনাল মন্তব্য করেন।
এসময় জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী আগামী ১০ দিনের মধ্যে খনির উন্নয়নে কর্ম পরিকল্পনা বাজেট তৈরী করে তার দপ্তরে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন। পরে বিকেলে তিনি বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রর কর্মকর্তা কর্মচারীদের সাথে মত বিনিময় শেষে বিকেল সাড়ে ৪ টায় হেলিকপ্টার যোগে ঢাকার উদ্যেশে রওনা হন।



মন্তব্য চালু নেই