জোড়া কলা খেলে কি সত্যিই যমজ সন্তান হয়? জেনে নিন সেই গোপন রহস্য…

ভারতীয় উপমহাদেশে ধর্ম-নির্বিশেষে এই সংস্কারটা অনেকেই মেনে চলেন। জোড়া কলা অথবা জোড়া কলা সাধারণত মহিলারা এড়িয়ে চলেন। পরম্পরাগতভাবে বলা হয়ে থাকে, জোড়া কলা বা জোড়া ফল খেলে যমজ সন্তান হয়।

ভারতীয় উপমহাদেশে ধর্ম-নির্বিশেষে এই সংস্কারটা অনেকেই মেনে চলেন। জোড়া কলা অথবা জোড়া কলা সাধারণত মহিলারা এড়িয়ে চলেন। পরম্পরাগতভাবে বলা হয়ে থাকে, জোড়া কলা বা জোড়া ফল খেলে যমজ সন্তান হয়। আবার এমন কাহিনি ভারতীয় উপমহাদেশের অজস্র কিংবদন্তিতে ছড়িয়ে রয়েছে, সন্তানহীনা নারীকে কোনও সন্ন্যাসী বা ফকির জোড়া ফল খেতে দিচ্ছেন। এবং সেই ফল খেয়ে তাঁরা গর্ভবতীও হচ্ছেন। প্রশ্ন জাগতেই পারে, এই সংস্কারের পিছনে কোনও বৈজ্ঞানিক সত্য কাজ করছে কি না।

কাহিনি-কিংবদন্তি যা-ই বলুক না কেন, জোড়া ফল খাওয়ার সঙ্গে যমজ সন্তানজন্মের কোনও সম্বন্ধ পাওয়া যায়নি। যমজ সন্তানের জন্মের পিছনে যে বৈজ্ঞানিক সত্য কাজ করছে, সেটি এই— নারীর একই ঋতুচক্রে একই সঙ্গে দু’টি ডিম্বাণু নির্গত হয়। যদি এই দু’টি ডিম্বাণু আলাদা আলাদা দু’টি শুক্রাণু দ্বারা নিষিক্ত হয়, তাহলে যমজ সন্তানের জন্ম হতে পারে। এই নিষেকের ফলে যে শিশুদের জন্ম হয়, তাদের ‘মোনোজাইগোটিক টুইন’ বলা হয়। এদের গায়ের রং, চোখের মণির রং, রক্তের বৈশিষ্ট্য এক হতে পারে, আলাদাও হতে পারে।

আর একটি প্রক্রিয়ায় যমজ সন্তান গর্ভে আসতে পারে। সেক্ষেত্রে ডিম্বাশয় থেকে একটি মাত্র ডিম্বাণু নির্গত হয়ে শুক্রাণু দ্বারা নিষিক্ত হয়। কিন্তু তার পরে কোষসংখ্যা বৃদ্ধির জটিল ক্রিয়ায় তার বিভাজন ঘটে এবং যমজ ভ্রূণে পরিণত হয়। এদের ‘ডাইজাইগোটিক টুইন’ বলা হয়। এদের চেহারা, রক্তের গ্রুপ এমনকী চরিত্রবৈশিষ্ট্যও হুবহু হয়ে থাকে।

এই প্রক্রিয়ায় জোড়া ফলের কোনও ভূমিকা নেই।



মন্তব্য চালু নেই