জেল হেফাজতে সালাহ উদ্দিন

অনুপ্রবেশের অভিযোগে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। শিলং জেলা জজ আদালত বুধবার দুপুরে এ আদেশ দেন।

মেঘালয় পুলিশ ভারতের বিদেশ আইন অনুযায়ী সালাহ উদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা করে। মেঘালয় পুলিশের দাবি, তারা একপ্রকার নিশ্চিত সালাহ উদ্দিন অপহরণের গল্প ফেঁদে রাজনীতি করার চেষ্টা করেছেন। পুলিশ জানতে পেরেছে, সিলেট-মেঘালয় সিমান্তে সালাহ উদ্দিন স্থানীয় বিএনপির অনেক নেতার ঘনিষ্ট এবং তার অনেক আত্মীয়ের বাড়ি সেখানে অবস্থিত। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে অপহরণের গল্প তৈরি করেছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ৬৩ দিন নিখোঁজ থাকার পর ১১ মে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে সন্ধান পাওয়া যায় বিএনপির নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদের। তাকে উদ্ভ্রান্ত অবস্থায় ঘুরতে দেখে শিলংয়ের গলফ-লিংক এলাকার লোকজন ১১ মে ভোরে পুলিশে খবর দেয়। এরপর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে পাস্তুর পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। পরে তাকে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর নেওয়া হয় সেখানকার সিভিল হাসপাতালে। এরপর শিলং সদর পুলিশ থানা হয়ে নেওয়া হয় মানসিক হাসপাতাল মিমহানসে। এক দিন পর মিমহানস থেকে আবার তাকে পাঠানো হয় সিভিল হাসপাতালে। আট দিন পর সিভিল হাসপাতাল থেকে সালাহ উদ্দিন আহমেদকে স্থানান্তরিত করা হয় নেগ্রিমসে।

উন্নত চিকিৎসার জন্য সালাহ উদ্দিনকে বিদেশে নিতে ২২ মে জামিন চেয়ে আদালতে পিটিশন দাখিল করেন পরিবারের সদস্যরা। মেঘালয় আদালত ২৯ মে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। ওই দিন আদালত বিষয়টি অপহরণ না অনুপ্রবেশ সে বিষয়ে রিপোর্ট জমা দিতেও বলে।



মন্তব্য চালু নেই