জেলা পরিষদ নির্বাচনে কে ভোটার কে প্রার্থী

দেশের জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে চিঠি পাঠিয়েছে। আগামী ২৮ ডিসেম্বর জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংসদে পাস হওয়া এ সংক্রান্ত আইন অনুযায়ী সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, কাউন্সিলর/সদস্য, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর/সদস্য জেলা পরিষদের নির্বাচনমণ্ডলীর সদস্যরা ভোটার হবেন। তবে এরা কেউ নির্বাচনের প্রার্থী হতে পারবেন না।

আইনের ১৭ (১) ধারায় বলা হয়েছে, ‘প্রত্যেক জেলার অন্তর্ভুক্ত সিটি কর্পোরেশনের (যদি থাকে) মেয়র ও সব কমিশনার, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার চেয়ারম্যান ও সব কমিশনার এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সব সদস্যের সমন্বয়ে জেলার পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্য নির্বাচনের জন্য নির্বাচকমণ্ডলী গঠিত হবে।’

তবে জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হলেও তারা কোনো ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন না। আইনে আরো বলা হয়েছে, নির্বাচকমণ্ডলীর সদস্য না হলে কোনো ব্যক্তি ভোটার তালিকাভুক্ত হওয়ার যোগ্য হবেন না। এছাড়া আইনের অন্য একটি ধারায় বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদের সদস্য বা অন্য কোনো স্থানীয় কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বা সদস্য হলে তিনি প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা হারাবেন।

অর্থাৎ অন্য কোনো সংস্থার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি না হলে যেমন ভোটার হওয়া যাবে না তেমনি কোনো সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি হলে জেলা পরিষদে প্রার্থী হওয়া যাবে না। জেলা পরিষদ নির্বাচনে কেবল স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাই ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।

এ হিসেবে স্থানীয় সরকারের চারটি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬৭ হাজার নির্বাচিত প্রতিনিধি এই নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে সব চেয়ে বেশি ভোটার হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদে। দেশে বর্তমানে ৪ হাজার ৫৭১টি ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিটিতে গড়ে ১৩ জন করে প্রায় ৬০ হাজারের মতো নির্বাচিত প্রতিনিধি রয়েছে। একইভাবে ৪৮৮টি উপজেলা পরিষদে প্রায় দেড় হাজার, ৩২০টি পৌরসভায় সাড়ে ৫ হাজার এবং ১১টি সিটি কর্পোরেশনে প্রায় সাড়ে ৫০০ নির্বাচিত প্রতিনিধি রয়েছেন।



মন্তব্য চালু নেই