জেনে নিন শসার স্বাস্থ্য উপকারিতা

শসা সার্বিক স্বাস্থ্যের জন্যই অত্যন্ত উপকারী একটি সবজি বিশেষ করে গরমের দিনের জন্য। কারণ শসায় প্রচুর পানি থাকার পাশাপাশি মানব দেহের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান ও থাকে। শসায় ভিটামিন এ, সি ও ফলিক এসিড থাকে এবং এর খোসা ফাইবারে সমৃদ্ধ। ম্যাগনেসিয়াম, মলিবডিনাম এবং পটাশিয়ামের মত খনিজ উপাদান ও থাকে শসাতে। এতে সিলিকা নামের খনিজ উপাদানটিও থাকে যা সংযোজক কলাকে শক্তিশালী হতে সাহায্য করে। এছাড়াও শসাতে অ্যাসকরবিক ও ক্যাফেইক এসিড থাকে যা পানি কমে যাওয়া রোধ করে। শসার স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলো সম্পর্কে জেনে নিই চলুন।

১। হাইড্রেটেড থাকতে সাহায্য করে

শসাতে ৯৫.২% পানি থাকে, অর্থাৎ প্রতি ৫ আউন্স শসাতে ৪.৮ আউন্স বা ১৫০ মিলি লিটার পানি থাকে। খাদ্য থেকে দৈনিক পানি গ্রহণের পরিমাণের ২৬% একবাটি শসা থেকে পাওয়া যায়। শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে ও শরীরের টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে শসা।

২। হৃদস্বাস্থ্যের জন্য উপকারী

শসাতে পটাসিয়াম থাকে যা ব্লাড প্রেশার কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও স্ট্রোকসহ কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজের ঝুঁকি কমায় পটাসিয়াম। তাই হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে শসা উপকারী।

৩। স্নায়ুর রোগ প্রতিরোধ করে

স্ট্রবেরি ও আঙ্গুরের মত শসাতেও অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদান ফিসেটিন থাকে। মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ফিসেটিন। মস্তিষ্কের কাজে বাঁধা সৃষ্টিকারী বয়স জনিত স্নায়বিক রোগের প্রভাব কমানোর ক্ষমতা আছে ফিসেটিনের এবং আলঝেইমার্স রোগে আক্রান্তদের জ্ঞানীয় কাজে সহযোগিতা করে এটি।

৪। ত্বককে বয়সের প্রভাব থেকে রক্ষা করে

শসা অ্যান্টি রিংকেল এজেন্ট হিসেবে কাজ করে বলে কসমেটিক পণ্য তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। ত্বকের যত্নে ও বয়সের ছাপ প্রতিরোধে নিয়মিত শসা খাওয়া ভালো।

৫। ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়

শরীরের ইনফ্লামেশন বা প্রদাহ কমতে সাহায্য করে শসা। শসাতে লিগনেন্স নামক পলিফেনল থাকে যা নির্দিষ্ট কিছু ক্যান্সারের এবং কার্ডিওভাস্কুলার ডিজিজের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও শসাতে কিউকারবিটাসিন নামক পুষ্টি উপাদান থাকে যার ক্যান্সাররোধী গুণ আছে।

৬। ব্যথা কমায়

শসাতে উপস্থিত ফ্লেভনয়েড ও ট্যানিন শরীরের ফ্রি র‍্যাডিকেলের নিঃসরণ কমতে সাহায্য করে বলে ব্যথা কমে। ইয়ং ফার্মাসিস্ট নামক জার্নালে বলা হয় যে, এই উদ্ভিদ মাথাব্যথা কমতে সাহায্য করে, এর বীজ শিতলিকারক ও মূত্রবর্ধক। এই ফলের জুস পুষ্টিকর এবং ব্রণরোধী লোশনে ব্যবহার করা হয়।

এছাড়াও নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ কমায়, হাড়ের সুরক্ষায় কাজ করে, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে, কোলেস্টেরল কমায়, ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে শসা।



মন্তব্য চালু নেই