জেনে নিন, লাগেজ না আসলে কি করবেন…

১. আগমণী তারিখেই এয়ারলাইন্স অফিস কিংবা লস্ট-এন্ড-ফাউন্ড ডেস্কে কমপ্লেইন করে PIR (Property Irregularity Report) রশিদ বুঝে নিতে হবে। এয়ারলাইন্স নিজে অথবা গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং এজেন্ট (বাংলাদেশ বিমান) এর মাধ্যমে পিআইআর ইস্যু নিশ্চিত করবেন এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে নিজস্ব নিয়মে ইন্টেরিম রিলিফ বা আইআর প্রদান করবেন।

…পিআইআর ইস্যুর মাধ্যমে ওয়ার্ল্ড ব্যাগেজ ট্রেসারে মিসিং লাগেজের ইমপুট প্রদান করা হয় এবং ট্রেস করা গেলে ডেস্টিনেশনে প্রেরণ করা হয়।

২. সাত দিনের মধ্যে লাগেজ না আসলে অথবা এয়ারলাইন্স বা লস্ট-এন্ড-ফাউন্ড ডেস্ক থেকে যাত্রির সাথে যোগাযোগ করা না হলে এয়ারপোর্টস্থ এয়ারলাইন্স অফিসে গিয়ে লাগেজের মালামালের ফিরিস্তি (ইনভেন্টরি) নির্দিষ্ট ফরমে স্বাক্ষর করে জমা দিতে হবে।

…অনেক সময় লাগেজের ট্যাগ ছিঁড়ে যায়। স্ক্যানিং করে মালামালের সাদৃশ্য থেকে লাগেজ চিহ্নিত করার জন্য ইনভেন্টরি নেয়া হয়।

৩. সাতদিনের মধ্যে লাগেজ না আসলে এয়ারলাইন্স ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের জন্য উর্ধ্বতন অফিসে অগ্রায়ন করবেন, যাতে পরবর্তী ১৪ দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণ নির্ধারিত হয়।

…এয়ারলাইন্স পরবর্তী ১৪ দিন একই সাথে ট্রেসিং এবং ক্ষতিপূরণ নির্ধারণের কাজ চলমান রাখবে।

৪. একুশ দিনের মধ্যে লাগেজ না আসলে লাগেজ মিসিং বলে গণ্য হবে এবং এয়ারলাইন্স যাত্রিকে ক্ষতিপূরণ বুঝিয়ে দিবে। পরবর্তী দুই বছরের মধ্যে লাগেজ আসলে যাত্রি লাগেজও পাবেন, ক্ষতিপূরণ ফেরত চাওয়া যাবে না। অন্যদিকে ২১ দিনের মধ্যে লাগেজ আসলে যাত্রি শুধু লাগেজ পাবেন, ক্ষতিপূরণ পাবেন না।

…বুকিং এর সময় মুল্যমান ঘোষণাপূর্বক চার্জ দিয়ে বীমাকৃত লাগেজের ক্ষেত্রে ঘোষিত মুল্যমানেই ক্ষতিপূরণ নির্ধারিত হয়। অঘোষিত লাগেজের ক্ষেত্রে ওজন ২০ কেজির মধ্যে হলে সবটুকুর জন্য এবং ওজন ২০ কেজির উপরে হলে কমপক্ষে ২০ কেজির জন্য প্রতি কেজি ২০ ইউএস ডলার হারে ক্ষতিপূরণ নির্ধারিত হয়।

(এয়ারক্রাফ্টে স্থান সংকুলান না হওয়া, ট্যাগ ছিঁড়ে যাওয়া বা মিস-হ্যান্ডলিং এর কারণে লাগেজ নির্ধারিত ফ্লাইটে না এসে পরবর্তী যেকোন সময় আসতে পারে। এমনকি নাও আসতে পারে। এটা মেনেই যাত্রিরা আকাশপথে ভ্রমণ করেন। লাগেজ না আসার অর্থ লাগেজ চুরি বা গায়েব নয়। মনে রাখতে হবে, এতে যাত্রির যেমন ক্ষতি… তেমনি এয়ারলাইন্সেরও ক্ষতিপূরণ প্রদানের মাধ্যমে আর্থিক ক্ষতি সাধিত হয়)



মন্তব্য চালু নেই