জেনে নিন ভিডিও গেম খেলার উপকারিতাগুলি

আপনার ছেলে বা মেয়ে কি ভিডিও গেমসে আসক্ত? আর এটা নিয়েই বাড়িতে যত অশান্তি? তাহলে এবার ভিডিও গেমসের ভাবনাটা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন।সারাক্ষণ টুক টাক। খুট খুট। কম্পিউটার না হলে মোবাইল। বাড়ির ছোট ছেলে বা মেয়েটি ভিডিও গেমস হাতে পেলেই বিশ্বকে আরেক দিকে রেখে দেয়। কোনও কিছু দেখা বা শোনার মতো তার কাছে অবকাশ নেই। বাবা মায়ের তো দুশ্চিন্তা কম নয়।অনেকে আবার বলেও ফেলেন, তার সন্তানের দ্বারা জীবনে কিচ্ছু হবে না। প্লিজ এবার সন্তানের ভিডিও গেম খেলা নিয়ে মাথা ঘামানোটা ছাড়ুন।

আওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সমীক্ষায় জানা গিয়েছে সপ্তাহে ২ ঘণ্টার মতো মাথা ঘামানো ভিডিও গেম খেললে মানসিক অবক্ষয় কম হয়। এমনকি যদি নিয়মিত এ ধরনের ভিডিও গেম খেলা যায়, বয়সের সঙ্গে সঙ্গে নানা রকম কাজের দক্ষতাও কম হয় না। অনেক বাবা মাকে বলতে শোনা যায়, ভিডিও গেম খেলে খেলে উন্মাদ হয়ে যাবে তাঁর সন্তান।তাদের জেনে রাখা উচিত, পাড়ুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ভিডিও গেম খেললে শিশুদের মস্তিস্কে গন্ডগোল হয় এই তথ্য সম্পূর্ণ ভুল।সমীক্ষায় প্রকাশ, যারা বেশি মাত্রায় অ্যাকশন ভিডিও গেম খেলছে, তাঁদের বই পড়ার দক্ষতাও কয়েক গুণ বেড়ে যায়।যে সমস্ত শিশুর ডিসলেক্সিয়া আছে, ভিডিও গেম তাদের সারিয়ে তুলতে পারে। যারা মনে করেন, ভিডিও গেমই তার সন্তানের ভবিষ্যত্‍ শেষ করে দিচ্ছে, তাদের জানা উচিত,

টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল বিভাগের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যারা ভিডিও গেম খেলে, ডাক্তারি ছাত্রদের চেয়েও তারা ভার্চুয়াল সার্জারিতে এগিয়ে।সমীক্ষকদের মতে, যারা লেখাপড়া করেন এবং সপ্তাহে অন্তত ৩ ঘণ্টা ভিডিও গেম খেলেন, তাহলে ল্যাপারোস্কোপিক সার্জারির ক্ষেত্রে ভুলের পরিমাণ অনেক কমে যায়।টিভির সামনে বসে থাকলেও চোখের সমস্যা বাড়ে। ভিডিও গেমের সামনে বসে থাকলে সেটা হতে পারে, এ তো স্বাভাবিকই।কিন্তু জানেন কি, আমেরিকান পেন সোসাইটির একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভিডিও গেম খেললে দুশ্চিন্তা দূর হতে পারে, শারীরিক যন্ত্রণা কমতে পারে, ক্রনিক ব্যধিরও উপশম হতে পারে।এমনকি হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের সারিয়ে তুলতে পারে ভিডিও গেম।তাহলে এবার কি সন্তানের পিছনে টিক টিক কররেন? নাকি নিজেও এবার দিনে কয়েক ঘণ্টা ভিডিও গেম খেলা প্রাকটিস করবেন?



মন্তব্য চালু নেই