জেনে নিন, প্রজাপতির রং পাল্টানোর কৌশল

প্রজাপতির বর্ননা দিয়ে শেষ করা যাবে না। যুগে যুগে প্রজাপতিকে কেন্দ্র করে নানা গল্প, কবিতা, গান রচিত হয়েছে। হিন্দু মিথ সাহিত্যে যেমন প্রজাপতিকে বিয়ের দেবতা বলা হয়েছে, আবার গ্রিক পুরানে প্রজাপতি হলো সৃজনের দেবতা। যুগে যুগে প্রজাপতিকে নিয়ে এরকম হরেক গল্প-মিথ চালু আছে। প্রজাপতির পাখায় মুগ্ধ হয়ে কবিও লিখেছেন নানা রকম কবিতা। এই প্রাণীর জন্ম থেকে মৃত্যুবধি পুরো প্রক্রিয়াটি নিয়েই আছে বিস্তর সব আখ্যান। আর এই সব আখ্যানের পূর্ণাঙ্গতা পায় একটি সম্পূর্ণ দৃষ্টিনন্দন প্রজাপতিতে।

পৃথিবীতে নানা জাতের প্রজাপতি রয়েছে। প্রজাতিভেদে তাদের আকার, আকৃতি ও রংয়ের ভিন্নতাও পাওয়া যায়। মানবিক এই পৃথিবীতে অন্যান্য পতঙ্গের মধ্যে তাই প্রজাপতি পেয়েছে এক সতন্ত্র বৈশিষ্ট্যমন্ডিত সৌন্দর্য্য। কিন্তু এই প্রজাপতির ও যে আজানা কিছু তথ্য আছে তা অনেকেরই অজানা।

জন্মের পরই একটি প্রজাপতি উড়তে পারে না। একটি প্রজাপতি ওড়ার জন্য বেশ কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হয়। প্রজাপতির আয়ুকাল ও বেশ কম। একটি প্রজাপতি দুই থেকে চার সপ্তাহ বাঁচে। প্রজাপতি তার পাখার রং বদলাতে পারে। বিশেষ করে খাবার সংগ্রহের সময় ও শত্রুর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মূলত তারা পাখার রং বদলায়।

সম্প্রতি এক গবেষণায় পাওয়া গেছে স্ত্রী প্রজাপতি পুরুষ প্রজাপতির চেয়ে বিপদের সতর্কতা হিসেবে দ্রুত তাদের পাখার রং বদলাতে সক্ষম। জার্ণাল ইভালিউশনের একটি গবেষণায় দেখা যায় স্ত্রী প্রজাপতি কিভাবে নিজেকে বিপদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য দ্রুত পাখার রং বদলায়। স্ত্রী প্রজাপতিরা যখন তাদের ডিম বহন করে তখন তারা তুলানুমূলকভাবে অনেক ভারি হয়। সেই অবস্থায় তারা সহজে উড়তে পারে না। তাই পাখি বা অন্যান্য শিকারী থেকে নিজেকে রক্ষা করতে তারা এই রং বদলানোর কৌশল অবলম্বন করে। পাখার রং বদলানোর সময় তারা পাখাগুলোকে এমনভাবে ভাঁজ করে রাখে যে সহজে কেউ তাদের দেখতে পায় না। এমনকি সেই সময়টাতে তাদের পাখা এতটাই বিষাক্ত থাকে যে, কোন পুরুষ প্রজাপতিও তখন তাদের সংস্পর্শে আসে না।

শুধু প্রজাপতি নয় রং বদলানোর এই কৌশল পৃথিবীতে আরো অনেক প্রাণীরই জানা আছে। তাদের মধ্যে সাপ, ব্যাঙ ও পানির নীচের কিছু প্রজাতির মাছ বিশেষ উল্লেখযোগ্য।



মন্তব্য চালু নেই