জেনে নিন পাসপোর্টের বিভিন্ন রঙের কারণ

আপনি জানেন কি, আপনার পাসপোর্ট আপনার দেশ সম্পর্কে অনেক তথ্য দিতে পারে? আপনি যদি একজন প্রিন্স না হন তাহলে আসলে পাসপোর্টের জন্য পছন্দমত রং নির্বাচনের অধিকার নেই আপনার। পাসপোর্টের রং একেবারে নির্দিষ্ট। শুধু ৪টি রং এর পাসপোর্ট হয়- লাল, নীল, সবুজ এবং কালো। এই চার রঙের বিভিন্ন শেড দেখা যায় ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে। পৃথিবীর বেশীরভাগ দেশেই পাসপোর্ট হয় নীল এবং লাল রং এর। আমাদের দেশের পাসপোর্ট অবশ্য সবুজ। এই রঙের ভিন্নতার সাথে কি জড়িত রাজনীতি, ধর্ম বা অর্থনৈতিক কোন ইস্যু। না। বিষয়টি জড়িত দেশটির পরিচয়ের সাথে। আসুন জেনে নিই কারণগুলো-

১। লাল পাসপোর্ট
মূলত বার্গেন্ডি রং এর এই পাসপোর্ট ব্যবহার করেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্যভুক্ত দেশগুলো। যেসব দেশ সংস্থাটির সদস্য হতে ইচ্ছুক তারাও রং বদলে বার্গেন্ডি করে ফেলেন পাসপোর্ট! আবার বলিভিয়া, কলম্বিয়া, ইকুয়েডর এবং পেরুর আন্দিয়ান কমিউনিটি যা ইইউ এম্বিশন নামে পূর্বে পরিচিত ছিল, তারাও ব্যবহার করেন লাল পাসপোর্ট। সুইস পাসপোর্টটি চমৎকার, এটি লাল হওয়ার কারণ সুইজারল্যান্ডের পতাকার রং।

২। নীল পাসপোর্ট
ক্যারাবিয়ান অথবা ক্যারিকম দেশগুলো সাধারণত নীল পাসপোর্ট ব্যবহার করত। তবে দিনে দিনে আধুনিক বিশ্বে এটি বেশ কমন হয়ে উঠেছে। ব্রাজিল, আরজেন্টিনা, প্যারাগুয়ে, উরুগুয়ে এবং ভেনেজুয়েলা এখন পাসপোর্টের রঙে ব্যবহার করছেন নীল রং।

যুক্তরাষ্ট্র বাদ দেয় নি পাসপোর্টের কোন রং। ১৯৭৬ সাল থেকে পতাকার রং এর সাথে মিলিয়ে দেশটির পাসপোর্টের রং নির্বাচন করা হয় নেভী ব্লু। ধারণা করা হয়, শুরুর দিকের পাসপোর্টের কভার ছিল লাল বা বার্গেন্ডি। ১৯৩০ সাল থেকে সবুজ রঙের পাসপোর্ট ব্যবহার শুরু হয়। ১৯৭০ এ এসে আবার রং বদলায় আমেরিকান পাসপোর্টের। এবারে রং ছিল কালো।

৩। সবুজ পাসপোর্ট
সাধারণত ইসলামিক দেশগুলো সবুজ পাসপোর্ট ব্যবহার করে। কারণটি অবশ্যই ধর্ম। সবুজের বিভিন্ন শেড ব্যবহার করতে দেখা যায় ইসলামিক কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস- ECOWAS এর দেশগুলোতে। নাইজার এবং সেনেগালও এর অন্তর্ভুক্ত।

৪। কালো পাসপোর্ট
কালোর ব্যবহার বাস্তবতা সংশ্লিষ্ট। গাঢ় রং মানে নীল বা লালের খুব গাঢ় শেড গ্রহণ করে যে দেশগুলো তাদের অন্যতম যুক্তি হল, এই রংগুলো সহজে ময়লা দেখায় না এবং দেখতে আরও অফিসিয়াল লাগে। রিপাবলিক অব বোতসোয়ানা, জাম্বিয়া এবং নিউজিল্যান্ড তাদের জাতীয় রঙের সাথে মিলিয়ে কালো রঙের পাসপোর্ট ব্যবহার করে।

রং ছাড়াও পাসপোর্টের আছে আরও নানান বিষয়। সিরিয়ান পাসপোর্ট হচ্ছে সবচেয়ে পেছনের সারির পাসপোর্ট। একজন সিরিয়ান পাসপোর্ট অধিকারী ব্যক্তি মাত্র ৩২ টি দেশে ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারবেন। যুক্তরাষ্ট্রের পাসপোর্ট আছে র‍্যাঙ্কিং এ ৩ নম্বরে। তবে দেশটির পাসপোর্ট আবারও নতুনভাবে নকশা করা হচ্ছে। সেটি হবে এক বিশেষ চমক।



মন্তব্য চালু নেই