জেনে নিন, কোন ফল খেলে ওজন কমে

ওজন কমানোর জন্য বেশিরভাগ মানুষ চিন্তিত থাকেন। কী করলে ওজন কমবে, কীভাবে চললে একটু কম মোটা দেখাবে, কী কী না খেলে ওজন কমবে আরও কত কি! ইচ্ছায়-অনিচ্ছায় অনেক কাজ করে থাকেন ওজন কমানোর জন্য। অনেক বিধি নিষেধ মেনে চলেন। কিন্তু এত কিছুর পরও ওজন কমে না।

তবে রোগ হতে ডায়েটে বেশি ফল থাকা প্রয়োজন। সব ফল সমান উপকারী নয়? কোনও কোনও ফল বেশি খেলে হিতে বিপরীত ফল হতে পারে। নিচে কিছু ফল নিয়ে আলোচনা করা হলো যা আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করবে।

বেদানা : এই ফলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট কোলেস্টেরল ও ফ্যাটের পরিমাণ কমায়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে।

নাসপাতি : ফাইবারের মাত্রা বেশি হওয়ায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূরে রেখে হজম ক্ষমতা বাড়ায়। খিদে কমাতে সাহায্য করে।

আপেল : পেকটিন নামক সলিউবল ফাইবার থাকায় আপেল শরীরে ফ্যাট মেটাবলিজমে সাহায্য করে।

ডাব : ডাবের জল বা নারকেলের জলে তেল থাকে যা শরীরের তাপমাত্রা বাড়ায় ফলে মেটাবলিক রেট বাড়ে। ফলেওজন কমে।

কালো জাম : ফাইবার ও ভিটামিন সি-তে পরিপূর্ণ কালো জাম হজমে সাহায্য করে, রক্ত পরিষ্কার রাখে। ফলে ওজম কমাতে সাহায্য করে।

লেবু : সাইটিক অ্যাসিড ও ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবুতে থাকা ফাইবার ওবেসিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য ও হজমের গন্ডগোল রুখে ওজন বশে রাখে।

তরমুজ : কোষ্ঠাকাঠিন্য কম করে, শরীরের ফ্লুইডের সঠিক মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে তরমুজ। লো ক্যালরি ফ্রুট তরমুজ ওজম কমাতে দারুণ উপকারী।

ফুটি : ভিটামিন এ, সি, বি কমপ্লেক্সে ভরপুর এই ফলে ফাইবারের মাত্রাও বেশি। যা রক্তে ফ্রি র‌্যাডিকাল বাড়ায়। কার্বহাইড্রেট হজম করতে সাহায্য করে।

পেঁপে : পেঁপের মধ্যে থাকা উত্সেচক প্যাপেইন লিভার পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। ভিটামিন এ ও সি রক্তে শর্করার মাত্রা কম করে। ফলে ওজন কমে।

কমলা লেবু : এই ফলের মধ্যে থাকা ভিটামিন সি কোলাজেন তৈরি করতে সাহায্য করে যা ত্বকের বলিরেখা রুখে দেয়। ফলে চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ে না।



মন্তব্য চালু নেই