জেদ্দায় এক মর্গে ১০৭৫ হাজির মরদেহ

নাইজেরিয়ার একজন কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন যে, ১ হাজার ৭৫ জনের মৃতদেহ জেদ্দায় একটি মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে তাদের কাছে তথ্য রয়েছে।

অন্যদিকে পাকিস্তান, ইরান আর ইন্দোনেশিয়াও জানিয়েছে যে, সহস্রাধিক হাজি মৃত্যুর ছবি তারা দেখতে পেয়েছে। যদিও সৌদি আরব বলছে নিহতের সংখ্যা ৭৬৯ জন।

এদিকে, হজ্জের সময় পদদলিত হয়ে নিহতদের সংখ্যা নিয়ে সৃষ্ট বিভ্রান্তি দূর করার জন্য ব্যাখ্যা দিয়েছে সৌদি কর্তৃপক্ষ। নিহতের সংখ্যা নিয়ে সৌদি আরব চাপের মধ্যে রয়েছে। অনেকের আশঙ্কা মৃতের সংখ্যা কম দেখানোর চেষ্টা করছে দেশটি।

পাকিস্তানের পক্ষে ঘটনার তদারকির দায়িত্বে থাকা সংসদ সদস্য তারিক ফজল চৌধুরী বলছেন, ‘প্রকাশিত ছবিগুলো মিনায় নিহতদের ছবি বলেই মনে হয়েছে তার কাছে।’

তিনি বলছেন, ‘তাদের কাছে যে তথ্য রয়েছে তাতে মিনার ওই ঘটনাতেই মৃতের সংখ্যা এগারোশ হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘সৌদি আরব অন্যান্য ঘটনায় মৃতের কথা বললেও সে সম্পর্কিত কোনো তথ্য তিনি জানতে পারেনি।’

ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল সৌদি আরবকে ‘অযোগ্য’ এবং ‘অদক্ষ’ অভিহিত করে তাদের এই ব্যাপক মৃত্যুর জন্য দায়িত্ব স্বীকার করার আহ্বান জানিয়েছে।

সৌদি আরবের মুখপাত্র মেজর জেনারেল মনসুর আল-তুর্কি দাবি করেন, যেসব ছবি প্রকাশিত হয়েছে, তার মধ্যে অনেকে ক্রেন দুর্ঘটনায় মারা গেছে। এছাড়া এমন অনেক বিদেশি নাগরিকের মৃতদেহের ছবি রয়েছে যারা অনুমতি ছাড়াই হজ পালনের সময় মারা গেছেন।

হজ করার সময় গত পঁচিশ বছরের মধ্যে এবারই সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটল।

নিহতের মধ্যে এ পর্যন্ত ২৬ জন বাংলাদেশির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ।



মন্তব্য চালু নেই