জিয়ার লাশ নিয়ে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান দর-কষাকষি করেছিলেন : মতিয়া

সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের লাশ নিয়ে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান দর-কষাকষি করেছিলেন বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘জিয়ার কফিন যখন ঢাকায় আনা হলো তখন তারেকের বয়স ১৭ বছর। তখন সে একবারও বলেনি, আমি বাবার লাশ দেখতে চাই। দেখতে চাইবে কীভাবে? তখন তো লাশ নিয়ে দর-কষাকষি চলছিল। ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি, গুলশানের বাড়ি, লেখাপড়ার খরচ কীভাবে আদায় করা যায়, সেটা নিয়ে। এখন বাবার প্রতি দরদ উঠছে। বাবা যেখানে মারা যায়, সেখানে ছেলেমেয়ে গিয়ে বিলাপ করে, কান্নাকাটি করে। চট্টগ্রাম সার্কিট হাউস, যেটা তথাকথিত জাদুঘর সেখানে তারেক রহমান কোনো দিন যায়নি। খালেদা জিয়া শুধু উদ্বোধনের দিন গিয়েছিল।’

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বিএনপির রাজনীতি ভাঁওতাবাজি, চুরি, লুটপাট আর রাজাকারদের পুনর্বাসন করা। কিন্তু বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।

খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে মতিয়া বলেন, ‘আপনি ১৯৯০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে গুলিস্তানে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, এরশাদ জিয়াউর রহমানের হত্যাকারী। এরপর ‘৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতার যাওয়ার পর আমি সংসদে দাঁড়িয়ে পয়েন্ট অব অর্ডারে বলেছিলাম, আপনি এরশাদের বিরুদ্ধে আলতু-ফালতু মামলা না দিয়ে খুনের মামলা দেন। তখন তিনি (খালেদা) বললেন, সাক্ষ্যপ্রমাণ থাকলে আপনি মামলা করেন। আমি তখন বলেছিলাম, সোয়ামী (স্বামী) মরছে আপনার আর মামলা করব আমি, মজা লন?’

আওয়ামী লীগের এই জ্যেষ্ঠ নেত্রী বলেন, ‘লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা গাওয়া দেখে আইএসআইয়ের (পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা) মাথায় রক্ত উঠে যায়। পরে তারা এ দেশে তাদের এজেন্টদের খোঁজা শুরু করে। লন্ডনের কাকাতুয়া দিয়ে এ দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতি করতে চাচ্ছে। ইতিহাস বিকৃত করে জাতিকে বেশি দিন বিভ্রান্ত করে রাখা যায় না। আল্লাহ জালেমের দোয়া শোনেন না, মজলুমের পাশে থাকেন।’

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের নেতা আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, আফজাল হোসেন প্রমুখ।
– See more at: http://www.1newsbd.com/2014/04/17/4149#sthash.fHeWXytV.dpuf



মন্তব্য চালু নেই