জিয়াই প্রথমে নিজ নামে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন

সেনাবাহিনীর তৎকালীন মেজর জিয়াউর রহমানই প্রথমে নিজ নামে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমানেই প্রথমে নিজ নামে এ ঘোষণা দেন। পরবর্তীতে এটি সংশোধন করে জাতির শীর্ষ নেতৃত্ব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। জিয়াউর রহমান শুধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েই থেমে থাকেননি, তিনি রণাঙ্গণে যুদ্ধও করেছেন।’

শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ‘সুনীতি সুশাসন সু-সরকার ও ভিশন-২০৩০’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি তিনি এ প্রশ্ন রাখেন।

‘অল কমিউনিটি ফোরাম’ নামের একটি সংগঠন এ সভার আয়োজন করে।

চলমান ইউপি নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘চলমান ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে রক্তের হোলিখেলা চলছে। রক্তের গঙ্গা বয়ে যাচ্ছে। গোটা দেশ মৃত্যুপুরিতে পরিণত হয়েছে। তাহলে কিসের এ নির্বাচন, কার জন্য এ নির্বাচন, কেন এই নির্বাচন?’

তিনি বলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া কাউন্সিলে ‘রূপকল্প- ২০৩০’ দিয়েছেন। এখানে তিনি সুনীতি, সুশাসন ও সু-সরকারের কথা বলেছেন। কিন্তু দেশে এখন গণতন্ত্রহীন রাষ্ট্র ব্যবস্থা। সু’র কোনো ছায়াও নেই। সব সু পরিণত হয়েছে কু-তে। আমরা এখানে দুঃশাসন দেখছি। আমরা দেখছি, এ সরকার অসহিষ্ণু, হিংসা-বিদ্বেষ, প্রতিহিংসা ও জিঘাংসা চরিতার্থ করছে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন রাজনীতির অবস্থা ভয়াবহ-বীভৎস। ইউপি নির্বাচনে ব্যাপক সহিংসতা হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে এখন পর্যন্ত ১১জন নিহত হয়েছে। প্রথম ধাপে ২১ জন নিহত হয়। গোটা দেশজুড়ে রক্তের হোলিখেলা চলছে। রক্তের গঙ্গা বয়ে যাচ্ছে। কিসের এই নির্বাচন, কার জন্য এ নির্বাচন, কেন এই নির্বাচন? গোটা দেশ মৃত্যুপুরিতে পরিণত হয়েছে। লাশের মিছিল ক্রমেই দীর্ঘতর হচ্ছে। এটা হতে দেয়া যায় না। এর জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ দায়ি। কারণ, নির্বাচনের সময়ে সিইসি প্রধানমন্ত্রীর চেয়েও বেশি ক্ষমতাবান থাকেন। নির্বাচনকালীন সময়ে তাকে ‘সুপার প্রাইমমিনিস্টার’ বলা হয়।

‘অল কমিউনিটি ফোরাম’র সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মো. আশরাফ উদ্দিন বকুলের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, বিএনপির সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বেপারী, জাতীয়তাবাদী দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কেএম রকিবুল ইসলাম রিপন, ছাত্রদলের সাবেক নেতা সর্দার মো. নুরুজ্জামান প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই