জিন্স কেনাকাটার কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস

আজকাল ছেলে হোক বা মেয়ে, এই আধুনিক প্রজন্মের পছন্দের পোশাকের তালিকায় আছে জিন্স। জিন্স পরার জন্য আলাদা ওকেশনের প্রয়োজন পরে না। যে কোনও অনুষ্ঠানই হোক, জিন্সের মতো পোশাক হয় না। চটপট সাজে জাদুকরী স্টাইল করতে জিন্স আর টি-শার্টই যথেষ্ট। এক জিন্সে কিভাবে যে বছর কেটে যায়, বোঝাই যায় না। তবে জিন্স কেনার আগে যে বিষয় মাথায় রাখা উচিত, জেনে নিন-

সঠিক ব্র্যান্ড
জিন্স কেনার আগে ব্র্যান্ড নিয়ে সচেতন থাকুন। এমন অনেক ব্র্যান্ডের জিন্স আছে, যা আসলে ততটা ভালো নয়। তবে ফ্যাশনের তাগিদে বার বার ব্র্যান্ড পাল্টানো উচিত নয়।

ম্যাটেরিয়াল
হাজারটা ব্র্যান্ড ও একাধিক জিন্সের মধ্যে কোয়ালিটি জিন্স বেছে নেওয়া জরুরি। তবে কাজটা খুব একটা সহজ নয়। অনেক সময়ই ভুল জিন্স কেনা হয়। ফলাফল, অহেতুক টাকা পকেট থেকে বেরিয়ে যায়। কিন্তু জিন্স পরে যদি আরামই না পান, তাহলে পুরোটা সময় এবং টাকাটাই নষ্ট।

সাইজ
জিন্স কেনা হলেও তার ঠিকঠাক ফিটিংস জরুরি। নয়তো আপনার লুক একদম মাটি হয়ে যাবে। তাই দেখেশুনে ফিটিংস জিন্স কিনুন, নয়তো কেনার পর ঠিকঠাক ফিটিং করিয়ে নিন।

সঠিক রং
পছন্দের যে কোনও রঙের জিন্সকেই স্টাইলিশ করে তোলা যায়। তাতেই সাজ হয় পারফেক্ট। তবে জিন্স কেনার আগে তার রং দেখে নিন। অনেকগুলো রঙ যদি একটি জিন্সে থাকে, তবে তা মোটেই মানানসই হবে না। এখন অনেক রঙের জিন্সই পাওয়া যায়। লাল, নীল, হলুদ, সবুজ, কোনও কিছুই যেন বাদ পরেনি। তবে একরঙা জিন্সই বেস্ট। সে নীলই হোক বা কালো।

নিজস্ব স্টাইল
আধুনিক একটি স্টাইলের নাম জিন্স। পায়ের দিকটা কোঁচকানো, কোনোটা আবার একটু ছেঁড়া ছেঁড়া। এটাই নাকি আজকালকার ফ্যাশন। এই ফ্যাশনে গা না ভাসিয়ে জিন্স কিনুন নিজের ফ্যাশন বজায় রেখে।

পরিস্কার
জিন্স এমন এক পোশাক যা মোটামুটি বেশ কয়েকবার পরা যায়। ধোয়ার ঝামেলা কম, এমনটা ভাববেন না। সময়মতো পরিস্কারে আপনার জিন্সের রং ও কাপড় দুটোই ঠিক থাকবে। তবে ওয়াশিং মেশিনে নয়, প্রিয় জিন্সের আয়ু বাড়াতে তা হাতেই ধুয়ে ফেলুন।



মন্তব্য চালু নেই