জিন্সের প্যান্টে ছোট পকেট থাকার কারণ জানেন কি?

বর্তমানে ফ্যাশন জীবনে পোশাকের থেকে পকেট প্রায় উঠে যেতে বসেছে। বিশেষ করে নারীদের পোশাকে, যেমন- ট্রাউজারে, কোট, শার্টের নকল পকেট বিরক্তির কারণ হয়ে দাড়ায়।

জিন্সের পকেটগুলোর কারণে প্যান্ট আলাদা রকমের সুন্দর দেখায়। সাধারণত, পেছনে দুটি পকেট, সামনে দুটি পকেট এবং সামনের একটি পকেটে আলাদা সামান্য আয়তক্ষেত্রাকার অদ্ভুত একটি পকেট থাকে।

কিন্তু অাপনি জানেন কি? এ ছোট পকেটটি কী কারণে দেয়া হয়েছে। হ্যাঁ, এটি অবশ্যই ছোট কোনো জিনিস যেমন- কয়েন রাখার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিছুদিন আগে এটি স্মার্টফোন ব্যবহারের জন্য তৈরি হত।

জিন্স এবং টেক্সটাইল বিশেষজ্ঞরা কুয়োরা ফোরামের ওয়েবসাইটে এর সঠিক উত্তর জানতে চান।

অ্যামেরিকার নামী জিন্স ব্রান্ড লেভি স্ট্রাউসের ব্যবহারকারী রেনেটা জানোসকোভার ছোট পকেট নিয়ে প্রশ্নের উত্তর উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা যেতে পারে।

ব্লগে তিনি লেখেন, এ পকেটটি ‘ঘড়ি পকেট’। মূলত পকেট ঘড়ি রাখার জন্য এটি দেয়া হয়েছে।
[ সূত্র- দ্যা ইন্ডিপেন্ডেন্ট ]

সর্বপ্রথম জিন্স এর ব্যাবহার শুরু হয়েছিল ইংল্যান্ডে। তবে এর নামকরণ হয় ইটালিতে । জিন্স শব্দটি এসেছে ফ্রেন্স শব্দ জিন ফুস্তিয়ান থেকে,জিন ফুস্তিয়ান ছিল তুলা থেকে তৈরি একটি টূয়াইল ফেব্রিক যার

উৎপত্তিস্থল ইটালির, জেনয়া শহর। জেনোয়া শহরের নাবিকদের পরনে এই জিস ফুস্তিয়ানের প্যান্ট থাকত। এভাবেই নামটি সংক্ষিপ্ত হয়ে বহুবচন জিন্স নামে অগ্রসর হয় । জিন্স আমরা সবাই পরি কিন্তু এর পেছনের ইতিহাস আমরা জানি না । কিভাবে কখন এই জিন্সের উৎপত্তি, কিভাবে এতো জনপ্রিয়তা পেল

প্রথম দিকে বিভিন্ন ফেব্রিকের মিশ্রণে জিন্স তৈরি হয়েছিল তৈরি । সে যাই হোক পরবর্তী সময়ে এসে শুধু তুলা থেকে জিন্স তৈরির শুরু হয় । আঠারো শতকে তুলা চাষের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় । তখনই তুলা নির্মিত এই জিন্সের জন্ম । জিন্স কাপড়টি ছিল বেশ শক্ত ও দীর্ঘদিন পরিধানযোগ্য এবং সহজে এতে ডাইং করা যায় এমন।

মানুষের মধ্যে খুব তাড়াতাড়ি জিন্সের ব্যাবহার প্রসার লাভ করে । তখনকার ইটালিয়ান জিন্সগুলোকে প্রাকৃতিক ইন্ডিগো ডাই দিয়ে রং করা হত । এগুলো ছিল গাড় নীল রঙের । তখন জিন্স ছিল আটপৌরে পাজামার মত ব্যাবহার্জ্য একটি পোশাকের মত । কিন্তু পরবর্তীতে বিশেষত পশ্চিমা সংস্কৃতির হলিউড

সিনেমার প্রভাবে জিন্সের বাজার বৃদ্ধি পায় । দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী পঞ্চাশের দশকে জিন্স তারুণ্যের একটি প্রতীকে পরিনত হয় ।

জিন্স প্যান্ট প্রধানত চার প্রকারের হয়ে থাকে

১) এমব্রয়ডারি জিন্স

২) রংচটা জিন্স

৩) স্লিম জিন্স

৪) স্ট্রেইট কাট

১৯৮০ সালে অবশেষে জিন্স একটি অভিজাত ফ্যাশনের পোশাকের রুপ নেয়। তখনকার বিখ্যাত ডিজাইনাররা জিন্স প্যান্টেকে নিজের মত করে পৃথক পৃথক বিশিষ্ট রুপ দেন । যার ফলে জিন্স আজকের সর্বাধিক বিক্রিত পোশাকের পরিনত হয়েছে । গড়ে প্রত্যেক অ্যামেরিকান সাতটি জিন্স প্যান্ট ব্যাবহার করেন । জিন্সের প্রধান জোগানদাতা চীন ।

 



মন্তব্য চালু নেই