জিকা ভাইরাস থেকে আরো এক রোগের সন্ধান

ব্রাজিলে মহামারি আকার ধারণ করা জিকা ভাইরাসের সঙ্গে আরো একটি রোগের যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে দেশটির বিজ্ঞানীরা। ব্রাজিলের পিইউসি-পারানা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছেন, জিকা ভাইরাসের সাথে মাইক্রোসেফালি রোগের যোগসূত্র থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। জিকা ভাইরাসের কারণেই মাইক্রোসেফালি রোগটি হয় বলে তাদের ধারণা।

উল্লেখ্য, জিকা ভাইরাসের মতো মাইক্রোসেফালিতে আক্রান্ত শিশুরাও ক্ষতিগ্রস্ত মস্তিষ্ক ও অস্বাভাবিক ছোট মাথা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। যুক্তরাষ্ট্রের দ্যা বোস্টন চিলড্রেন হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী, মাইক্রোসেফালি একটি বিরল রোগ। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি বছর ২৫ হাজার শিশু এই রোগে আক্রান্ত হয়। মাইক্রোসেফালির কারণে কিছু শিশুর মস্তিস্কের রোগ হয়, যা তাদের স্বাস্থ্যের ওপর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলে।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি জন্মের মাত্র ৪৮ ঘন্টা পর মৃত্যুবরণ করা দুই শিশুর মস্তিষ্কে জিকা ভাইরাসের অস্তিত্ব আবিষ্কার করেছেন ব্রাজিলের পিইউসি-পারানা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক। তাদের ধারণা, জিকা ভাইরাসের কারণেই তারা মাইক্রোসেফালিতে আক্রান্ত হয়েছিল। বিজ্ঞানীরা জানান, শিশুদুটির মস্তিষ্কের টিস্যু থেকে নমুনা সংগ্রহ করে দেখা গেছে, জিকা ভাইরাস তখনো তাদের মস্কিষ্তে কার্যকরী ছিল।

লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে ব্রাজিলেই জিকা ও মাইক্রোসেফালির প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ পারাইবায় এর প্রকোপ আরো বেশি। সেখানকার ১০ জন গর্ভবতীকে সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রেখেছেন গবেষকরা। তাদের গর্ভে জন্ম নেয়া শিশুদের মস্তিষ্কের ত্রুটি ও জিকার মধ্যে তারা একটি সম্পর্ক দেখতে পেয়েছেন।

এদিকে সোমবার রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভেরোনিকা সোভোসাভা বলেছেন, গত ১৫ মাসের প্রচেষ্টার পর দেশটি ইবোলার যে প্রতিষেধকটি আবিষ্কার করেছে তা প্রয়োগ করে আশাব্যঞ্জক ফল পাওয়া গেছে। এখন পশ্চিম আফ্রিকায় এর আরো পরীক্ষা নিরীক্ষা চালানো হবে।

ভোরোনিকা বলেন, রাশিয়ায় একদল স্বেচ্ছাসেবকের ওপর দুই স্তরের পরীক্ষা চালিয়ে প্রতিষেধকটির কার্যকারিতা দেখা গেছে। এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, প্রতিষেধকটি পরীক্ষা করে দেখার পরই রাশিয়ার দাবির ব্যাপারে মন্তব্য করা হবে।



মন্তব্য চালু নেই