জিকা আতঙ্কে কার্নিভালে ‘চুমুতে’ নিষেধাজ্ঞা

জিকার আতঙ্ক ভুলে পাঁচ দিনের জন্য কার্নিভালে মেতে উঠেছে ব্রাজিল। তবে প্রেসিডেন্টের অনুরোধ, ‘দয়া করে অন্তঃসত্ত্বারা কাউকে চুমু খাবেন না।’

গবেষণায় আগেই জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র মশার কামড়ই নয়, যৌন মিলন এবং রক্তের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে জিকা ভাইরাস। সম্প্রতি দুজন রোগীর লালা এবং মূত্র পরীক্ষা করে পাওয়া গিয়েছে ওই ভাইরাস।

অর্থাৎ লালার মাধ্যমে সংক্রমণ হলে চুমু খেলেও ছড়াবে জিকা। ব্রাজিলের কার্নিভাল তো নাচগানের পাশাপাশি চুমু খাওয়ারই উৎসব। শুধু প্রেমিক-প্রেমিকাই নয়, এই উৎসবে অচেনা লোককেও চুমু খাওয়া যায়। কার্নিভালের এমন রীতিতে চিন্তায় ব্রাজিল সরকার। অচেনা জিকা রোগীকে চুমু খেয়ে অন্তঃসত্ত্বারা ওই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে। তাই দেশটির প্রেসিডেন্টের আবেদন, ‘‘অন্তঃসত্ত্বা নারীরা পারতপক্ষে ভিড়ে বেরোবেন না। আর কাউকে চুমু খাবেন না।”

জিকা কেবল অন্তঃসত্ত্বা নারীদের ক্ষেত্রে ভয়ঙ্কর, আর বাকিদের ক্ষেত্রে সর্দি-জ্বর— এই তত্ত্ব মিথ্যা প্রমাণিত হতে চলেছে বলেই মনে করছেন কলম্বিয়ার ‘ন্যাশনাল হেলথ ইনস্টিটিউট’-এর চিকিৎসকেরা।

দক্ষিণ আমেরিকার বেশ কয়েকটি দেশে গর্ভপাত আইনত নিষিদ্ধ। তাই জিকায় আক্রান্ত অন্তঃসত্ত্বা নারীদের গর্ভপাত করানোর যে বিধান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দিয়েছে তা মেনে নিতে পারছে না এল সালভাডরের মতো দেশ। সেখানে মায়ের জীবন সংশয়ের আশঙ্কা ছা়ড়া গর্ভপাত করালে ৪০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। কিন্তু শিশুর জীবনের সংশয় হলে গর্ভপাত করানোর আইনি স্বীকৃতি নেই।



মন্তব্য চালু নেই