জাল নোট বিস্তারে ঢাকাকে ব্যবহার করছে আইএসআই

ভারতে দুই হাজার রুপির নতুন জাল নোট ছড়িয়ে দিতে ঢাকাকে ব্যবহার করছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের প্রভাবশালী সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই (ইন্টার সার্ভিসেস ইনটেলিজেন্স) বাংলাদেশি একটি চক্র ব্যবহার করে ভারতে জাল নোট সরবরাহ করায় বিপাকে পড়েছে ভারতীয় গোয়েন্দারা।

ভারতের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এক প্রতিবেদনে বলেছে, লাহোর ও করাচিতে আইএসআই পরিচালিত অফিসে দুই হাজার রুপির জাল নোট ছাপানো হচ্ছে। এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশটিতে ৫০০ ও এক হাজার রুপির নোট বাতিল করে দুই হাজার রুপির নোট চালু করে বলেন, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এটি কঠোর পদক্ষেপ।

লাহোর করাচির ওই অফিসে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভারতীয় জাল মুদ্রা উৎপাদন করছে আইএসআই। আইএসআই’র এই কাজ ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে আরো বেশি উদ্বেগ তৈরি করেছে যে আমানুল্লাহ ও খালিক নামে দুই চোরকারবারির সহায়তায় বাংলাদেশে একটি চক্রকে সক্রিয় করেছে পাকিস্তান। এই দুই চোরাকারবারির নেতৃত্বে চক্রটি ভারতে দুই হাজার রুপির জাল নোট ছড়িয়ে দিচ্ছে।

এর আগে খালিক ফ্লাইট-৩৩৪ এ করাচি থেকে দুবাইয়ে যান। পরে সেখান থেকে অপর একটি ফ্লাইটে ঢাকায় আসেন। করাচি ও লাহোরে এই চক্রের প্রধান কার্যালয়ে তিনি আইএসআই’র সঙ্গে বৈঠক করেন। আরব আমিরাত, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, নেপাল ও মালয়েশিয়াসহ এই চক্রটির শাখা রয়েছে সাতটি দেশে।

একটি সূত্রের বরাত দিয়ে নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, জাল নোট পাচারের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২০১৪ সালে আব্দুর রহমান নামে জালিয়াত চক্রের এক নেতাকে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ গ্রেফতার করে। পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই গাজীপুরের বাসিন্দা আব্দুর রহমানকে নিয়োগ দেয়। ঢাকা-করাচি অবাধ চলাচলের জন্য তাকে পাকিস্তানি পাসপোর্টও (পাসপোর্ট নাম্বার : এএ৯১৫১৮২২) দেয় আইএসআই।

সূত্র বলছে, লাহোরে আইএসআই’র সব শাখা তৃতীয় কোনো দেশকে ব্যবহার করে ব্যাপকভাবে ভারতীয় জাল মুদ্রা ছড়াচ্ছে। এর আগেও ভারতীয় জাল নোট ছাপানো ঠেকাতে ভারতের অভিযান সফল হয়েছে। তবে আইএসঅাই ভারতীয় অর্থনীতিতে বিপর্যস্ত করতে নতুন নতুন পন্থা অবলম্বন করছে।

ভারতীয় একটি গোয়েন্দা সূত্র বলছে, বাংলাদেশে আইএসআই’র শক্তিশালী চোরাচালান চক্র নিয়ন্ত্রণ করছে ইমরান নামের এক জালিয়াত। পাকিস্তানে জালিয়াত বিলাল ও আসলামের সঙ্গে সমন্বয় করে দুবাইয়ে চোরাকারবারি পরিচালনা করছে ইরশাদ।

সূত্র : নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।



মন্তব্য চালু নেই