জামায়াত এক পাশে সরে দাঁড়াতে পারে : এমাজউদ্দীন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমাজউদ্দীন আহমদ বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধকে স্বীকার করে জামায়াতে ইসলামী জাতির কাছে ক্ষমা চাইলে তাদের নিয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ার ক্ষেত্রে আপত্তির কিছু থাকবে না। অথবা জাতির বৃহত্তর স্বার্থে জামায়াত এক পাশে সরে দাঁড়াতে পারে।

আজ শনিবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় এমাজউদ্দীন এসব কথা বলেন। বিএনপির সমর্থক চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) ‘সন্ত্রাস প্রতিরোধে জাতীয় ঐক্য, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন’ শীর্ষক ওই আলোচনার আয়োজন করে।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জাতীয় ঐক্যের আহ্বানের বিষয়ে এমাজউদ্দীন বলেন, একটা প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়, যতক্ষণ ২০ দলে জামায়াত থাকবে, ততক্ষণ কোনো কোনো মহল থেকে বাধা আসতে পারে। কিন্তু তিনি মনে করেন, জামায়াতের অধিকাংশ নেতা-কর্মীর জন্ম ’৭১–এর পরে। তারা এ মাটিরই সন্তান। তারা যদি জাতির কাছে ক্ষমা চায় যে, তাদের ‘মুরব্বিদের’ ভুল হয়েছিল, তারা যদি মুক্তিযুদ্ধকে স্বীকার করে নেয়, তাহলে আপত্তির কিছু থাকে না। অথবা জাতীয় স্বার্থে প্রয়োজন হলে জামায়াত চুপচাপ বসে থাকতে পারে। তারা এক পাশে সরে দাঁড়াতে পারে।

খালেদা জিয়ার আহ্বানকে স্বাগত জানিয়ে এমাজউদ্দীন বলেন, জাতীয় ঐক্য গড়ার উদ্যোগ প্রধানমন্ত্রীর নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। তাই ক্ষমতা থেকে তাঁর সরে দাঁড়ানো উচিত। তিনি এটিকে বিএনপির জন্য ‘মস্ত বড়’ সুযোগ হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেন, ‘এই আন্দোলন সফল করতে পারলে গত আট বছরে আমরা যা যা হারিয়েছি, প্রত্যেকটি ফিরে পাব।’

এমাজউদ্দীন বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনকে অন্তত সব কটি বিভাগীয় শহরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এটি হলে অগ্নিপরীক্ষায় বিজয় আসবে।

গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, জঙ্গিবাদও একটি প্রতিবাদ। কিন্তু প্রতিবাদের এই ধারাটি গ্রহণযোগ্য নয়। এটি ভুল পদ্ধতি। পুলিশের অত্যাচারের কারণে এই প্রতিবাদের জন্ম হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

ড্যাবের সভাপতি আজিজুল হকের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহ–উপাচার্য আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, ড্যাবের মহাসচিব এ জেড এম জাহিদ হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন।



মন্তব্য চালু নেই