জামাত-উদ-দাওয়া সহ কয়েকটি গোষ্ঠী ‘সন্ত্রাসবাদী’ তালিকায়, ২ নেতার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা আমেরিকার

দিলীপ মজুমদার (কলকাতা): লস্কর-ই-তোইবার ওপর চাপ বাড়িয়ে হাফিজ মহম্মদ সঈদের সহযোগী কয়েকটি সংগঠনকে নিষিদ্ধ বিশেষ সন্ত্রাসবাদী তকমাপ্রাপ্ত গোষ্ঠীর তালিকায় ফেলল আমেরিকা।জামাত-উদ-দাওয়া, আল-আনফাল ট্রাস্ট, তেহরিক-ই-হুরমত-ই-রসুল, তেহরিক-ই-তাহফুজ কিবলা আওয়াল প্রভৃতি সংগঠন এই তালিকায় এল।এদের লস্কর-সহযোগী হিসাবে কালো তালিকায় ফেলল ওবামা প্রশাসন।এর পাশাপাশি মার্কিন ট্রেজারি লস্করের আর্থিক লেনদেনের নেটওয়ার্কের মাথাদেরও টার্গেট করেছে।

নাজির আহমেদ চৌধুরি ও মহম্মদ হুসেন গিল, এই দুজনকে বিশেষ তালিকাভুক্ত আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী বলে ঘোষণা করেছে ট্রেজারি দপ্তর।মোট ২২ জন ব্যক্তি ও চারটি সংস্থাকে কালো তালিকায় রেখেছে ট্রেজারি ও মার্কিন বিদেশ দপ্তর।সন্ত্রাসবাদ ও আর্থিক গুপ্তচর বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি ডেভিড কোহেনের কথায়, লস্কর নেতৃত্বকে নিশানা করে আজ যে পদক্ষেপ করা হল, তাতেই পরিস্কার, জঙ্গি গোষ্ঠীটির আর্থিক লেনদেন বানচাল করে দিয়ে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় আমাদের দায়বদ্ধতা প্রশ্নাতীত। লস্করের হিংসাত্মক কাজকর্ম, পরিকল্পনা ভেস্তে দিতে ওদের আর্থিক নেটওয়ার্ককে আমরা টার্গেট করে যাব।

বিশেষ সন্ত্রাসবাদী নেতার তালিকাভুক্ত হওয়া আহমেদ ২০০০-এর গোড়া থেকেই লস্করের প্রথম সারির নেতা, সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতাদের একজন লস্করের সহসভাপতি পদে থাকা আহমেদ লস্কর প্রতিষ্ঠাতা হাফিজ সঈদের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।গত অন্তত ১০ বছর ধরে তিনি লস্করের প্রচার শাখার মাথায় ছিলেন।তাছাড়া লস্করের কৌশল নির্ধারণেও বড় ভূমিকা থাকত তাঁর। অপরদিকে লস্করের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য গিল গোষ্ঠীর শুরা-র প্রথম সারির সদস্যও বটে।।দশ বছরের বেশি লস্করে হিসাব পরীক্ষকের কাজ করেছেন গিল।গোষ্ঠীর মুখ্য আর্থিক বিষয়সংক্রান্ত অফিসার হিসাবে আয়-ব্যয়ের হিসাব রাখতেন।ট্রেজারি থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আজকের নির্দেশের ফলে আমেরিকায় এমন যত সম্পত্তি আছে যার সঙ্গে আহমেদ ও গিলের আর্থিক স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে, সেসব বাজেয়াপ্ত হচ্ছে।মার্কিন নাগরিকরাও ওদের সঙ্গে কোনও লেনদেনে জড়াতে পারবেন না।



মন্তব্য চালু নেই